রাজ্যসভায় কৌশলে ‘আদানি’র নামটি তুলে ফেলল তৃণমূল। ফাইল চিত্র।
সব কাজ মুলতুবি রেখে আলোচনার জন্য সংসদে একের পর এক নোটিস দিয়ে চলেছে বিরোধী দলগুলি। তার বেশির ভাগই হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট এবং গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আলোচনা তো দুরস্থান, সংসদের অধিবেশন অচলই। কিন্তু আজ রাজ্যসভায় কৌশলে ‘আদানি’র নামটি তুলে ফেলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
ঘটনার সূত্রপাত আজ রাজ্যসভার অধিবেশনের সূচনা পর্বেই। যখন বিরোধী শিবিরের সাংসদদের পেশ করা একের পর এক মুলতুবি প্রস্তাবের তালিকা পড়ছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়৷ কংগ্রেস, আপ, বাম, ডিএমকে, এনসিপি, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের সাংসদদের নিয়ে আসা মুলতুবি প্রস্তাব পড়ার সময়েই ওই প্রস্তাবে লিখিত ‘আদানি’ নামটি তাঁকে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্চারণ করতে হয়েছে৷
এই উল্লেখকে হাতিয়ার করেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি উঠে দাঁড়িয়ে চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বলেন, “আমরা খুশি, আপনার মুখে পবিত্র ব্যক্তির নাম শোনা যাচ্ছে৷” তখন মাইক বন্ধ থাকায় সুখেন্দুশেখরের এই তির্যক মন্তব্য ভাল করে বুঝতে না পারায় আবার শুনতে চান চেয়ারম্যান। এ বার মাইক অন হয় এবং তিনি মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন। হাসিতে ফেটে পড়ে রাজ্যসভা৷ এর পর আসরে নামেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ বলেন, ‘‘আমি আরও একবার সকলের বোঝার জন্য বলতে চাই, আমার অগ্রজ সতীর্থ ও বর্ষীয়ান সাংসদ যা বলতে চেয়েছেন, আসলে তা এক জনের নাম, আর তা হল এ-ডি-এ-এন-আই, অর্থাৎ আদানি।’’ ওই কথায় সংসদের উচ্চ কক্ষে আবারও হাসির রোল ওঠে। হেসে ফেলেন ধনখড়ও৷ আর তখন ট্রেজারি বেঞ্চে শাসক শিবিরের দলনেতা পীযূষ গয়ালের মুখ রীতিমতো গম্ভীর।