৫৬টি কমিটির একটির চেয়ারম্যানের পদও দেওয়া হল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। ফাইল চিত্র।
সংসদে তৃণমূল কংগ্রেস ৩৬ জন সদস্য নিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল। অথচ সংসদের মোট ৫৬টি কমিটির একটির চেয়ারম্যানের পদও দেওয়া হল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে।
এর আগে ২৪টি বিভিন্ন মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটি নতুন করে গড়া হয়েছিল। খাদ্য, গণবণ্টন এবং উপভোক্তা সংক্রান্ত মন্ত্রকের কমিটির পুরনো চেয়ারম্যান তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই একটি কমিটিই ছিল তৃণমূলের সাংসদের সভাপতিত্বে। দু’দিন আগে সংসদীয় অধিবেশনের কাজকর্ম সংক্রান্ত ২৯টি কমিটি (হাউস কমিটি) এবং ৩টি অর্থনৈতিক কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল এবং আপ (যাদের দশ সাংসদ)-কে কোনও কমিটির চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়নি। অথচ ৩৪টি সাংসদ সম্বলিত ডিএমকে পেয়েছে ৩টি কমিটির চেয়ারম্যানশিপ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিএসপি এবং বিজেডি পেয়েছে যথাক্রমে একটি এবং দু’টি কমিটির চেয়ারম্যানশিপ।
বিএসপি ঘোষিত ভাবে বিজেপি-বিরোধী দল। কিন্তু রাজনৈতিক শিবিরের মতে, গত আড়াই বছর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাপে মায়াবতী পরোক্ষে বিজেপিকে উত্তরপ্রদেশে সাহায্যই করে যাচ্ছেন। একই ভাবে এনডিএ-র শরিক না হয়েও নবীন পট্টনায়কের বিজেডি-ও নানা ভাবে সংসদে সুবিধা করে দিয়েছে বিজেপিকে। বিরোধীদের একাংশের বক্তব্য, তারই পুরস্কার দেওয়া হল তাদের। বিজেপি-ঘনিষ্ঠ জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস দু’টি, টিআরএস ১টি, শিবসেনাকে ১টি কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়েছে।তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, “আমরা ভিক্ষা চাইব না। সংসদের ভিতরে ও বাইরে যে ভাবে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করছিলাম, লড়ব। মোদী সরকারের আসল চেহারাটা তুলে ধরব। মোদীর দেওয়া মেকি প্রতিশ্রুতিগুলিকে অধিবেশনে তুলে ধরা হবে।”
তৃণমূল সূত্র ঘরোয়া ভাবে দাবি করছে, তাদের বিরুদ্ধে মোদী সরকারের সঙ্গে ‘সেটিং’-এর অভিযোগ যে কতটা অসার, তা এই আচরণেই প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে।