বিরিয়ানির অপেক্ষায় লাইন। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
১০ নয়া পয়সায় এক প্লেট বিরিয়ানি। না, এটা প্রতিদিনের দাম নয়। ১১ অক্টোবর বিশ্ব বিরিয়ানি দিবস উপলক্ষেই এমন সুযোগ এনে দেয় তামিলনাড়ুর তিরুচি শহরের এক নাম করা রেস্তরাঁ। এক দিনের জন্যই শুধু নয়, প্রথম একশো জন ক্রেতাকেই এই সুযোগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাতেই রবিবার সকাল থেকে লাইন পড়ে যায় রেস্তরাঁটির সামনে। করোনার ভয় ভুলে শারীরিক দূরত্ব না মেনেই ভিড় জমে যায়। হাতে হাতে অচল ১০ পয়সা।
কে এম এস হাকিম বিরিয়ানি। তিরুচি শহরে এই রেস্তরাঁর বেশ সুনাম রয়েছে। বিশেষ করে বিরিয়ানির জন্য। আর সেই বিরিয়ানি মাত্র ১০ পয়সায় পাওয়ার সুযোগ আর কে ছাড়তে চায়! সকাল ন’টা থেকেই মানুষের লাইন পড়ে যায় সেখানে। সেই লাইনে সব বয়সের পুরুষ, মহিলা। কিন্তু ঘোষণা মতো পেয়েছেন শুধু প্রথম একশো জন।
দাম তো কম। কিন্তু অনেককাল আগে বাতিল হয়ে যাওয়া ১০ পয়সা জোগাড় করাও তো সহজ নয়। অনেক ক্রেতাই অনেক খুঁজে তবেই পেয়েছেন অচল ১০ নয়া। রেস্তরাঁর মালিক কে এম এস মাইদিন সস্তায় বিরিয়ানি বিক্রি নিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল, বিশ্ব বিরিয়ানি দিবসে কোভিড যোদ্ধাদের সম্মান জানানো। সেই কারণে আগে থেকে টোকেন দেওয়া ১১০ জন কোভিড যোদ্ধাকে মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে বিরিয়ানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ভাবা হয়, বাকিদেরও একটা সুযোগ দেওয়া হোক। ঠিক হয় এখনও যাঁদের কাছে বাতিল হওয়া ১০ পয়সা রয়েছে তাঁদেরই এই সুযোগ দেওয়া হবে।’’
কে এম এস হাকিম বিরিয়ানির দু’টি কাউন্টার রয়েছে তিরুচি শহরে। একটি থিলাই নগরে ও অন্যটি পালাক্কারিতে। থিলাই নগরের কাউন্টার থেকে ১০ পয়সায় প্যাকেট করা বিরিয়ানি বিক্রি হয়। আর পালাক্কারিতে পুলিশ, পুরসভা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কাজ করা কোভিড যোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় ১ টাকায় বিরিয়ানি দেওয়ার জন্য। মেনুতেও ফারাক ছিল। ১০ পয়সায় মিলেছে শুধুই এক প্যাকেট বিরিয়ানি। কিন্তু কোভিড যোদ্ধাদের জন্য মেনুতে বিরিয়ানির সঙ্গে ছিল চিকেন-৬৫ এবং মিষ্টি।
আরও পড়ুন: হালাল নিষিদ্ধের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট
ওই রেস্তরাঁর পক্ষে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ ফের নেওয়া হবে। আর তাতে আরও অনেক মানুষ খেতে পারবেন সস্তার বিরিয়ানি। এ বার নাম মাত্র দামে বিরিয়ানি কেনার জন্য অনেক মানুষ এলেও সবাইকে দেওয়া যায়নি। অনেককেই ফিরে যেতে হয়েছে। আগামী দিনে এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে যাতে আরও বেশি মানুষ বিরিয়ানি দিবসে সস্তায় বিরিয়ানি খেতে পারেন।