পুরনো স্মৃতি ভুলে আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন টিনা।
প্রথম বারের বিয়ে নিয়ে তৈরি হয়েছিল চাপানউতর। সমাজের বিরুদ্ধে গিয়েই মুসলিম প্রেমিককে বিয়ে করেন হিন্দু দলিত বাড়ির মেয়ে টিনা দাভি। তবে টিনা তো যে সে মেয়ে নন। তিনি প্রথম দলিত মহিলা, যিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় সারা ভারতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। বিয়ে করেন সে বছরে ইউপিএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করা আখতার খানকে। দু’জনেই আইএএস অফিসার। এই বিয়ে নিয়ে অনেক বিতর্কও তৈরি হয়। সেই সময়ে দেশ জুড়ে তুঙ্গে উঠেছিল ‘লভ জিহাদ’ তরজা। অর্থাৎ ভিন্ন সম্প্রদায়ের তরুণী-তরুণীর বিয়ে করায় এক শ্রেণির আপত্তি। তবে সমাজের সেই আপত্তির তোয়াক্কা না করেই আখতারকে বিয়ে করেন টিনা। ২০১৮ সালের এপ্রিলে কাশ্মীরের পহলগাঁওয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। তাঁদের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কইয়া নাইড়ু থেকে লোকসভার তৎকালীন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। যেন চাঁদের হাট।
সমাজের আপত্তির তোয়াক্কা না করে আখতারকে বিয়ে করেন টিনা।
কিন্তু অনেক সফল প্রেমের মতো, এই দাম্পত্যও ভেঙে যায়। মনোমালিন্য দেখা যায়। ২০২০ সালে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেও তাঁদের আইনি বিচ্ছেদ হয় ২০২১ সালে।
পুরনো স্মৃতি ভুলে আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন টিনা। ঘটনাচক্রে, এ বারের পাত্রও আইএএস অফিসার। নাম প্রদীপ গাওয়ান্ডে। সোমবার ইনস্টাগ্রামে নিজেদের বাগদান পর্বের কথা ঘোষণা করেন টিনা। প্রদীপের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘তুমিই আমাকে এই ভাবে হাসতে শিখিয়েছ।’
প্রদীপও টিনার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘এক সঙ্গে থাকাই আমার জন্য সব থেকে বেশি আনন্দের।’
প্রদীপ গাওয়ান্ডে এবং টিনা দাভি।
চলতি বছরের ২২ এপ্রিল তাঁরা জয়পুরে বিয়ে করতে চলেছেন বলেও কানাঘুষো শোনা গিয়েছে।
প্রদীপ, টিনার থেকে তিন বছরের বড় এবং তিনি বর্তমানে রাজস্থানের প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘরের পরিচালক হিসেবে কর্তব্যরত। টিনা অর্থ দফতরের যুগ্ম সচিব।
টিনার বোন রিয়াও ২০২০ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় ১৫তম স্থান অর্জন করেছেন।