AIADMK

এআইএডিএমকে বিধায়কদের ভাগ্য নির্ধারণে ‘টাইব্রেকার’

এআইএডিএমকের ১৮ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে বরখাস্ত করার মামলায় রায় দিতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদালত। ভরসা তৃতীয় বিচারপতির রায়ের উপরেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৮ ২১:৩৪
Share:

মাদ্রাজ হাইকোর্ট।

ফিফার রেফারির বাঁশি বাজার আগেই টাইব্রেকার! তবে তা রাশিয়ার ময়দানে নয়। টাইব্রেকার এবার হতে চলেছে মাদ্রাজ হাইকোর্টে। আর রেফারি খুব সম্ভবত বিচারপতি হুলুভাডি জি রমেশ।

Advertisement

এআইএডিএমকের ১৮ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে বরখাস্ত করার মামলায় রায় দিতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদালত। প্রায় পাঁচমাস পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি এম সুন্দর একমত হতে পারলেন না। অতএব ভরসা তৃতীয় বিচারপতির রায়ের উপরেই।

গত সেপ্টেম্বর মাসে এআইএডিএমকের ১৮ জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী কে পলানীস্বামীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন। এরপরেই গত ১৮ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ বিধায়কের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কা‌র্যকলাপের অভি‌যোগ এনেছিলেন এআইএডিএমকের চিফ হুইপ এ রাজেন্দ্রন। অভিযোগ পেয়ে স্পিকার বরখাস্ত করেন ১৮ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে। এরপরই বরখাস্ত বিধায়করা আদালতের দ্বারস্থ হন।

Advertisement

এক দিকে, প্রধান বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ১৮ জন বিদ্রোহী বিধায়কের বরখাস্তের আদেশ বহাল রেখেছেন।অন্য দিকে, বিচারপতি এম সুন্দর বরখাস্তের আদেশ বাতিল করে দিয়েছেন। দ্বিধাবিভক্ত রায়ে তাই আপাতত স্বস্তি মিলেছে বিধায়কদের।

ইন্দিরার বক্তব্য, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে স্পিকার পি ধনাপাল বিধায়কদের বরখাস্ত করেন।এর সঙ্গত কারণও দেখিয়েছেন স্পিকার। তাই এবিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করার কোনও অর্থ হয় না। দুই বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করায় এবার বল গড়ানোর কথা তৃতীয় বিচারপতি হুলুভাডি জি রমেশের দিকে।কার্যত তাঁর রায়েই নির্ধারিত হবে ওই ১৮ জন বিধায়কের ভাগ্য।

আরও খবর: শ্রীনগরে বুলেটে ঝাঁঝরা সাংবাদিক সুজাত বুখারি, দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়

দীপিকার পর ফের নাক-কান কাটার হুমকি করণী সেনার, কাকে জানেন?​

ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, তামিলনাড়ু বিধানসভার স্পিকারের নির্দেশ আদালত বহাল রাখলে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী। প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এম সুন্দর এর সঙ্গে সহমত হননি। বরখাস্তের আদেশ খারিজ করেছেন তিনি। আদেশ খারিজ হলে বিধায়করা ডিএমকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পলানীস্বামীকে সরিয়ে দিতে পারতেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই আবার সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারকে কোনওমতে সমর্থন দিয়ে বাঁচিয়ে দিতেও পারতেন।

বিচারপতিরা দ্বিমত পোষণ করায় কার্যত ‘অনাথ’ হয়ে গিয়েছে ১৮ টি বিধানসভা। বিধানসভার চারটি অধিবেশনেও অনুপস্থিত ছিলেন এই বিদ্রোহী বিধায়কেরা। তাই আদালতেও ‘টাইব্রেকার’ ছাড়া উপায় নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement