মেঘাচ্ছন্ন: মরুঝড়ে সকালেই রাতের অন্ধকার। মঙ্গলবার অজমেরে। এএফপি
সকাল থেকেই আশঙ্কার প্রহর গোনা! ‘মধ্যদিনের রক্ত নয়ন অন্ধ করে’ কখন আসে সে!
স্কুল বন্ধ কাল থেকেই। রাস্তাঘাটেও জোর আলোচনা! গত সপ্তাহের থেকেও কি বেশি শক্তিশালী হবে এই ঝড়! ঘণ্টায়-ঘণ্টায় সতর্কবার্তা জারি করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, দিল্লি পুলিশ, মৌসম ভবন। দিল্লি-নয়ডা-গুরুগ্রামের একাধিক বেসরকারি দফতর আজ দুপুর-দুপুরই ছুটি হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত দিল্লি অবশ্য দিনটা কাটাল নিরাপদেই। রাতের দিকে রাজধানীর কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত আঁধি (ধুলোর ঝড়) বয়ে গিয়েছে।
হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকায় আজ ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে। রাতে মৌসম ভবন জানায়, আগামিকালও মেঘ-ভাঙা বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরকাশী, চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ, পিথৌরাগঢ়ে। ঝড় ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লিতে। কাল ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে ঝাড়খণ্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও।
আরও পড়ুন: সৌর বিদ্যুৎ সংসদ ভবনে
ছয় মাস বন্ধ থাকার পরে সদ্য গত সপ্তাহে খুলেছে কেদারনাথ-বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা। কিন্তু ভরা গ্রীষ্মে বদ্রীনাথে তুষারপাত হওয়ায় বন্ধ রাখতে হয়েছে চার ধাম যাত্রাও। গত কয়েক বছরে অস্বাভাবিক হারে বৃষ্টিপাত বেড়েছে রাজস্থানে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বায়ু বিভাগের প্রধান দীপঙ্কর সাহা বলেন, ‘‘উত্তর-পশ্চিম ভারত ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে প্রবল তাপপ্রবাহের ফলে বাতাস গরম হয়ে উপরে উঠে যাওয়ায় শূন্যস্থান তৈরি হচ্ছে। তা পূরণে অন্য জায়গা থেকে বাতাস প্রবল গতিতে ছুটে আসছে। তীব্র গতির ওই বাতাস ভূ-পৃষ্ঠের সঙ্গে ধাক্কা খাচ্ছে। তাতে এক দিকে বাতাসের মধ্যে থাকা বড় ধূলিকণাগুলি ছোট কণায় ভেঙে যাচ্ছে। উত্তর ভারতের রুক্ষ জমির উপরের স্তরের মাটি যে হেতু আলগা, তাই ওই ধূলিকণা বাতাসের সঙ্গে ভেসে বেড়াতে শুরু করেছে। যার ফলে ধুলোঝড় দেখা যাচ্ছে।’’ তবে দীপঙ্করবাবুর আশা, এক বার ভাল ভাবে বৃষ্টি হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।