জলমগ্ন: প্রবল বৃষ্টির জেরে জলের তলায় মেঙ্গালুরু শহর। চলছে উদ্ধারকাজ। মঙ্গলবার। পিটিআই
ঝড় এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টির দাপটে গত চব্বিশ ঘণ্টায় তিন রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ জন। প্রবল দুর্যোগে তছনছ উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বেশ কিছু অংশ। আহতও হয়েছেন অনেকে।
বিহারে মৃতের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। সেখানে মারা গিয়েছেন ১৯ জন। উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের, ঝাড়খণ্ডে মৃতের সংখ্যা ১৩। কোথাও ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে, তো কোথাও বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন কেউ। চলতি মাসের গোড়ার দিকেই ঝড় আছড়ে পড়েছিল পাঁচ রাজ্যে।
বিহার প্রশাসন জানিয়েছে, আজ সকালে মৃতের সংখ্যা ১৯ ছুঁয়েছে। বিহার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মুখ্য সচিব প্রত্যয় অমৃত জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে উদ্ধারকাজ চলছে। ফলে খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আর মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডেরও বেশ কিছু এলাকা দুর্যোগের কবলে। গত দু’দিনে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতে গোটা রাজ্যে মোট ২৩ জন মারা গিয়েছেন। এঁদের মধ্যে শুধু গত কাল সন্ধ্যাতেই বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন ১৩ জন। রাঁচীতে জায়গায় জায়গায় উপড়ে গিয়েছে গাছপালা। চাতরা, রামগড়, হাজারিবাগ, পলামু, লাতেহার জেলায়ও বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১৪ জন। রাঁচীর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা বি কে মণ্ডল বলেন, ‘‘একে আমরা প্রাক-বর্ষার কালবৈশাখী বলছি। আজ মঙ্গলবারও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৩১ মে পর্যন্ত এই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’’
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে। বাকিরা মারা গিয়েছেন ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি চাপা পড়ে। দুর্যোগের জেরে যানজটেও ব্যাহত হয় জনজীবন। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের।