—প্রতীকী চিত্র।
বিহারে আবার বিষমদের বলি। বিষাক্ত মদ খেয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তিন জন মদ বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের কাছ থেকে ৯০ বোতল মদ উদ্ধারও করা হয়েছে।
বিহারের সীতামঢ়ী জেলার ঘটনা। গ্রামের হাসপাতালে বিষমদ খেয়ে দু’জন ভর্তি আছেন বলে খবর পেয়েছিল পুলিশ। তারা হাসপাতালে পৌঁছে দেখতে পায়, ইতিমধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং গ্রামে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে বিষাক্ত মদ খেয়ে এই পরিণতি হয়েছে যুবকদের। এর পরেই বেআইনি মদের দোকানের সন্ধান শুরু করে পুলিশ।
গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে তিন বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা বিষমদ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে বিক্রি করতেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছে, আরও দুই যুবকের আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই গ্রামে। তাঁরাও বিষমদ খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পুলিশকে তাঁদের মৃত্যুর বিষয়ে খবর দেওয়া হয়নি। আগেই দেহ সৎকার করা হয়েছে। হাসপাতালে মৃত যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। তার রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিহারে মদ নিষিদ্ধ। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে নীতীশ কুমারের সরকার রাজ্যে মদ বিক্রি, কেনা এবং খাওয়ার উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু মদ খাওয়া তাতে থামানো যায়নি। বার বার বিহারে মদ পাচার এবং বিষমদে মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। চলতি বছরেই চম্পারণে বিষমদ খেয়ে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নতুন করে আরও তিন জন একই কারণে মারা গেলেন।