পাকিস্তানের চর-সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এর মাধ্যমে। প্রতীকী ছবি।
পাকিস্তানের আইএসআই চরদের কাছে একাধিক সিম কার্ড পাচারের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার। রবিবার ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করল ওড়িশা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তিন অভিযুক্ত ভারত এবং ভারতের বাইরে বেআইনি ভাবে সিম কার্ড পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাকিস্তানি ইনটেলিজেন্স অপারেটিভস (পিআইও) এবং আইএসআই চরদের কাছেও একাধিক সিম কার্ড বিক্রি করেছেন তাঁরা। অভিযুক্তদের নাম পাঠানিসমন্ত লেঙ্কা, সরোজ কুমার নায়ক এবং সৌম্য পট্টনায়ক। ৩৫ বছর বয়সি পাঠানিসমন্ত শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত।
ওড়িশার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গোপন সূত্রে খবর পায়, এই তিন অভিযুক্ত নয়াগড় এবং জজপুর জেলায় লুকিয়ে রয়েছেন। সেখানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েই তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তল্লাশি চালানোর পর অভিযুক্তদের কাছ থেকে ১৯টি মোবাইল ফোন, ৪৭টি সিম কার্ড, ৬১টি এটিএম কার্ড, ২৩টি সিম কভার এবং ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করার পর সব কিছুই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
ওড়িশা পুলিশ সূত্রে খবর, এক পাকিস্তানি মহিলা চরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন অভিযুক্তেরা। ওই মহিলা পিআইও-র সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যায়। মোটা টাকার বিনিময়ে ওই মহিলাকে অবাধে সিম কার্ড পাচার করতেন অভিযুক্তেরা। এএনআই সূত্রে খবর, বেআইনি ভাবে বিক্রি করা সিম কার্ড থেকে যে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) পাওয়া যায়, তার মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারের মতো সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়।
এমনকি, ফ্লিপকার্ট এবং অ্যামাজনের মতো ই-কমার্স সাইটে এই ওটিপির মাধ্যমে লেনদেনও করা হয়। এক নজরে দেখলে মনে হয়, এই সিম কার্ডগুলি ভারতীয়রা ব্যবহার করেছেন। পাকিস্তানের চর-সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এর মাধ্যমে। এমনকি, এই নম্বরগুলির সঙ্গে যে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয় সেগুলি হানি ট্র্যাপের সঙ্গেও যুক্ত বলে দাবি করেছে ওড়িশা পুলিশ। পুলিশের দাবি, অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে জঙ্গিদের বিভিন্ন জিনিসপত্রও পাঠানো হয়।