আরোগ্যের আশায়: সন্তানের বিছানায় উদ্বিগ্ন মা। বিআরডি হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।
গোরক্ষপুরের রেশ কাটতে কাটতেই রায়পুর। উত্তরপ্রদেশের পরে এ বার ছত্তীসগঢ়। আবারও সেই বিজেপি-শাসিত রাজ্য। সরকারি হাসপাতালের স্পেশ্যাল কেয়ার ইউনিটে ৩টি শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ফের আঙুল উঠল অক্সিজেন-সঙ্কটের দিকেই!
অভিযোগ, গত কাল রাতে টানা প্রায় ২০ মিনিট অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ ছিল রায়পুরের বিআর অম্বেডকর হাসপাতালে। আর তাতেই মৃত্যু হয় তিন সদ্যোজাতের। হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের দায়িত্ব ছিল যাঁর, রবি চন্দ্র নামের ওই আধিকারিক মদের নেশায় ঘুমিয়েই পড়েছিলেন! হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অক্সিজেন বন্ধের অভিযোগ ওড়ালেও, কর্তব্যরত ওই আধিকারিককে আজই সাসপেন্ড করেছেন। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ। যদিও সেই তদন্ত শুরুর আগেই রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়ে দিয়েছেন, অসুস্থতার কারণেই ওই তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘একটা সময় অক্সিজেনের সাপ্লাই প্রেসার কমে গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তা টের পেয়েই কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। এবং দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়!’’
কিন্তু তত ক্ষণে যে কুড়িটা মিনিট পেরিয়ে গিয়েছে! দেখতে দেখতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা হাসপাতাল চত্বরে। পাগলের মতো ছোটাছুটি করতে দেখা যায় প্রকাশ বিশ্বকর্মাকে। জন্মের পরেই তাঁর ছেলের হৃৎপিণ্ডে ফুটো ধরা পড়ে। দিন পাঁচেকের সেই শিশুটিরও চিকিৎসা চলছিল স্পেশ্যাল কেয়ার ইউনিটে। একটা সময় অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিকও হয়ে যায়, কিন্তু ছেলেকে আর ফিরে পেলেন না বালাঘাটের বিশ্বকর্মা পরিবার।