প্রতীকী ছবি।
সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের মাধ্যমে বিচারপতি নিয়োগ ঘিরে গত কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিক ভাবে প্রশ্ন তুলছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কের আবহেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে হয়েছে কিরেন রিজিজুকে। এমনকি এ নিয়ে বিতর্ক গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও।
সংঘাতের এই আবহেই সুপ্রিম কোর্টের তিন জন বিচারপতির পদে কলেজিয়ামের সুপারিশ করা নামে সম্মতি দিল কেন্দ্র। দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা, রাজস্থান হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসী এবং গুয়াহাটি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সন্দীপ মেহতা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদের দায়িত্ব নেবেন বলে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন। গত সোমবার এঁদের নাম কলেজিয়াম সুপারিশ করেছিল।
নতুন তিন বিচারপতি শপথ নিলে শীর্ষ আদালতে বিচারপতির সংখ্যা হবে ৩৪। যা ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ সংখ্যা। প্রসঙ্গত, অতীতে একাধিক বারই শীর্ষ আদালতের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় সংখ্যায় বিচারপতি না থাকার কারণে বিচারপ্রক্রিয়া ঘিরে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক বছরে বিচারপতি পদে সুপারিশ করা নাম নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের টালবাহানায় একাধিক বার ক্ষোভও প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৫ সালে মোদী সরকার সুপ্রিম কোর্ট এবং বিভিন্ন রাজ্যের হাই কোর্টগুলির বিচারপতিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দু’দশকের কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে পাল্টে দিয়েছিল। বিকল্প হিসাবে জাতীয় বিচারবিভাগীয় নিয়োগ কমিশন (এনজেএসি) গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এই উদ্দেশ্যে সংসদ এবং ১৬টি রাজ্যের বিধানসভায় বিলও পাশ করানো হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এনজেএসি গড়ার ব্যবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে কলেজিয়াম প্রথাই বহাল রাখার রায় দিয়েছিল। তার পর থেকেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে গয়ংগচ্ছ মনোভাবের অভিযোগ উঠেছে বারে বারে।