প্রতীকী ছবি।
আবারও ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দিল্লিতে। তিন স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বেহুঁশ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দিল্লির রোহিণী এলাকায়। দুই মহিলা-সহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ অগস্ট মসজিদ মঠ এলাকার এক বাসিন্দা ডিফেন্স কলোনি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন যে, তাঁর মেয়ে সকাল সাড়ে সাতটায় স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরেনি। স্কুলের গাড়িতে করে যেত ওই নাবালিকা। দুপুর ২টো নাগাদ স্কুল গাড়ির চালক দাবি করেন যে, ওই ছাত্রী তাঁর গাড়িতে ওঠেনি। তদন্তে নেমে পুলিশ এ-ও জানতে পারে যে, সে দিন স্কুলেই যায়নি ওই ছাত্রী।
শুধু ওই ছাত্রী নয়, স্কুলের আরও দুই ছাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর পরই তদন্ত জোরদার করে পুলিশ। নিখোঁজ ছাত্রীদের বাবা-মা, সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। পরে কারোল বাগ এলাকায় নিখোঁজ ছাত্রীদের সন্ধান পাওয়া যায়। তাদের শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়।
উদ্ধার করার পর ওই ছাত্রীরা গোটা ঘটনা জানায়। তারা জানায় যে, রোহিণী এলাকায় একটি বাড়িতে এক অভিযুক্ত তাদের নিয়ে যান। সেখানে তাদের বন্দি করে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রীরা। কোনওভাবে সেখান থেকে পালিয়ে আসে তারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মানবপাচার চক্রের হদিস পায়। গ্রেফতার করা হয় লাল শর্মা, সন্দীপ, রুকসানা, জ্যোতিকে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে যে, ছাত্রীদের চণ্ডীগড়ে পাচার করার ছক কষেছিলেন অভিযুক্তরা। রুকসানা ও জ্যোতিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি দুই অভিযুক্তকে জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় আগামী ১৪ অগস্টের মধ্যে পুলিশের থেকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছে দিল্লির মহিলা কমিশন। দিল্লি মহিলা কমিশনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, এক সঙ্গে মুম্বই যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল ছাত্রীরা। সেই মতো তারা নয়া দিল্লি স্টেশনে পৌঁছয়। সেখানে এক অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয় তাদের। টিকিট কেটে দেওয়ার নাম করে ছাত্রীদের রোহিণী এলাকায় একটি ঘরে নিয়ে যান ওই ব্যক্তি।