প্রতীকী ছবি।
চাষের ক্ষেতের লাগোয়া রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে গল্পগুজব করছিলেন বয়স্ক তিন কৃষক। ভরসন্ধ্যায় মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি চলছিল। আচমকাই সেখানে চলে আসে একটি গাড়ি। প্রবল গতিবেগে সেই গাড়ি ছুটে যায় কৃষকেরা যেখানে দাঁড়িয়েছিলেন, ঠিক সেখানে দিয়েই। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়েন তিন কৃষক। গাড়ির ধাক্কায় তিন জনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
সোমবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, কানপুরের বিলহউর টাউনে এই দুর্ঘটনার জন্য যে গাড়িটি একজন সরকারি কর্মীর। অযোধ্যার পিডব্লিউডি বিভাগের এক প্রযুক্তিবিদের নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে গাড়িটির। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন না। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন অজিত কুমার পাণ্ডে নামের এক ব্যক্তি। পুলিশ গাড়িটি আটক করেছে। ওই গাড়ির চালককেও গ্রেফতার করেছে।
উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় লখিমপুর খেড়ির ঘটনার ছায়া দেখছেন অনেকে। সেই ঘটনায় ভিড়ে ঠাসা রাস্তা দিয়ে প্রবল গতিতে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল কৃষক আন্দোলনের চার কৃষক-সহ মোট ৮ জনের। জখম হয়েছিলেন ১০ জনেরও বেশি। উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির পুত্রের বিরুদ্ধে গাড়ি চালানোর অভিযোগ ছিল। সোমবার কানপুরের ঘটনাটিতে পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ওই সরকারি কর্মীর গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তাঁর চালক। তবে তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন। সম্ভবত সে জন্যই গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।
বিলহউর টাউনের লখনউ-এটাওয়া রোডের এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ৩ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত কৃষকদের নাম সুরেন্দ্র সিংহ, আহিবরণ সিংহ এবং ঘাসিটে যাদব। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত কৃষকদের প্রত্যেকেরই বয়স ষাট বছরের উপরে। সড়ক পথ লাগোয়াই তাঁদের ফলের বাগান। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সেই বাগানের পরিচর্যার কাজই করছিলেন তাঁরা। সেই সময়েই ঘটে ঘটনাটি।