মোহন ভাগবত। —ফাইল চিত্র।
লোকসভায় বিজেপি একার জোরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিজেপির আসন সংখ্যা ২০১৯-এর তুলনায় কমেছে। সামনেই মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড ও জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আজ থেকে ঝাড়খণ্ডের রাঁচীতে আরএসএসের প্রান্ত প্রচারকদের তিন দিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে।
লোকসভায় বিজেপির শক্তি হ্রাসের পরে বিজেপি এবং আরএসএসের সম্পর্কের সমীকরণে পরিবর্তন আসতে চলেছে কি না, আরএসএস-এর নতুন কিছু নেতাকে বিজেপিতে কাজ করার জন্য পাঠানো হবে কি না, এই সম্মেলনে তার উত্তর মিলতে পারে বলে গেরুয়া শিবিরের নেতারা মনে করছেন।
তাঁদের মতে, লোকসভা ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রচারকদের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে সম্মেলনের শেষে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ‘দিশানির্দেশ’ আসতে পারে। ভাগবত লোকসভা ভোটের ফলের পরেই ‘সেবক’-এর মনে ‘অহঙ্কার’ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। আবার এই নির্বাচনে আরএসএস কতখানি সক্রিয় ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্রের খবর, আরএসএসের এই সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক বি এল সন্তোষ যোগ দিতে পারেন। বৈঠকের ফাঁকে বিজেপির পরবর্তী সভাপতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক বরাবরই আরএসএসের থেকে আসেন। নরেন্দ্র মোদী আরএসএসের মতাদর্শগত কর্মসূচি মেনে কাজ করলেও মোদী জমানায় আরএসএস গুরুত্ব পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। এখন বিজেপির শক্তি কমায় আরএসএসের ক্ষমতা বাড়বে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে।
আরএসএস সূত্রের বক্তব্য, আগামী বছর আরএসএসের শতবর্ষ। তা নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হবে। সাধারণত আরএসএসের ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ শিবির বা কার্যকর্তা বিকাশ বর্গের পরে এই প্রান্ত প্রচারক বৈঠক হয়। গত মাসে ওই প্রশিক্ষণ শিবিরের পরেই ভাগবত অহঙ্কার নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। মুখ খুলেছিলেন মণিপুরে শান্তি ফেরানো, ঐকমত্যের রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা নিয়েও।