প্রতীকী ছবি।
দুপুরে ফোন পেয়েছিলেন মুম্বইয়ের এক ব্যক্তি। ফোন ধরতেই ও পাশ থেকে পুরুষ কণ্ঠস্বর শুনতে পান তিনি। তাঁকে বলা হয়, “আপনার ফোন নম্বর ব্লক করে দেওয়া হবে। ফোন থেকে অশ্লীল ভিডিয়ো এবং মেসেজ পাঠানো হচ্ছে।” নিজেকে এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টট (ইডি) আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দেন ফোনের ও পাশে থাকা ব্যক্তি। আরও বলা হয়, কোনও সহযোগিতা না করলে ইডি পাঠানো হবে বাড়িতে। আর্থিক তছরুপের দায়ে তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।
এই ফোন পেয়েই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের ওই ব্যক্তি। পাল্টা প্রশ্ন করতেই তাঁকে বলা হয়, “আপনার নামে ইতিমধ্যেই থানায় এফআইআর হয়েছে। খুব শীঘ্রই তলব করা হতে পারে।” এই কথা শুনে একটু ঘাবড়ে যান ওই ব্যক্তি। তাঁর কথাবার্তায় সেই ছাপ পড়তেই ফোনের ওপাশে থাকা প্রতারক এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। তাঁকে বলা হয় যে ব্যক্তির সঙ্গে যোগযোগ করতে হবে, তিনিও এক জন পুলিশ অফিসার। নাম বিনয় চৌবে। শুধু তাই-ই নয়, ওই ব্যক্তিকে বলা হয়, এর জন্য আধার, ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড নিজের কাছেই রাখতে।
বিনয় চৌবে নামে ওই ‘পুলিশ অফিসারের’ সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করিয়ে দেন প্রতারকই। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। ওই ব্যক্তি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করতেই তাঁকে বলা হয় যে, আর্থিক তছরুপের একটি মামলায় সেই অ্যাকাউন্টটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এর পরই বিনয় চৌবে এক ‘ইডি অফিসারের’ সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ করিয়ে দেন। সেই ‘ইডি অফিসার’ দাবি করেন, যদি কিছু টাকা খরচ করেন, তা হলে বিষয়টি তিনি মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। এর পরই ফোন কেটে যায়। তার পর আবার একটি ফোন আসে ওই ব্যক্তির কাছে। তাঁকে বলা হয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক জন ‘বেনিফিশিয়ারি’র নাম যুক্ত করতে। সেই নাম যুক্ত করতেই সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায়। বিষয়টি যত ক্ষণে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন, তত ক্ষণে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা স্থানান্তরিত হয়ে গিয়েছিল। এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। অজ্ঞাতপরিচয়দের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।