—প্রতীকী ছবি।
ভারতীয় বিমান অপহরণের ছক কষেছে জঙ্গিরা। আজই অপহরণ হতে পারে। খবর পৌঁছেছে মুম্বই পুলিশের সদর দফতরে। তিনটি বিমানবন্দর থেকে একসঙ্গে বিমান অপহরণ হতে পারে বলে আশঙ্কা। ফলে মুম্বই, চেন্নাই এবং হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনী সেন্ট্রাল ইনডাস্ট্রিয়াল সিকিওরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) কঠোর নজরদারি অভিযানে নেমেছে। বিমানবন্দরগুলিতে স্নিফার ডগ এনে তল্লাশি চলছে।
তিনটি বিমানবন্দরেই কুইক রিঅ্যাকশন টিম এবং স্নিফার ডগ স্কোয়াড নামানো হয়েছে। —ফাইল চিত্র।
মুম্বই পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার এক পদস্থ পুলিশকর্তা একটি ই-মেল পেয়েছেন। এক মহিলা তাঁকে মেলটি পাঠিয়েছেন। মেলে তিনি জানিয়েছেন, একটি রেস্তোরাঁয় বসে তিনি ছ’জনকে বিমান অপহরণের ব্যাপারে কথা বলতে শুনেছেন। মুম্বই, চেন্নাই এবং হায়দরাবাদ বিমানবন্দর থেকে আজ, রবিবার একসঙ্গে বিমান অপহরণ করা হবে বলে নাকি আলোচনা চলছিল। এই ই-মেল বার্তা পাওয়ার পরই সিআইএসএফ-কে সতর্ক করেছে মুম্বই পুলিশ। প্রতিটি বিমানবন্দরে সিআইএসএফ কাউন্টার-টেররিজম টিম নামিয়েছে। বিমানবন্দরগুলির প্রবেশপথ এবং পার্কিং লটগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নেমেছে স্নিফার ডগ স্কোয়াড। সিআইএসএফ-এর কুইক রিঅ্যাকশন টিম তিনটি বিমানবন্দরেই অ্যান্টি-হাইজ্যাক ড্রিল শুরু করেছে। বিমানবন্দরগুলির বিভিন্ন অংশের নিরাপত্তা নতুন করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তল্লাশিও চলছে।
আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে সিরিয়ার দিকে কেন ওঁরা যান?
শুধু সিআইএসএফ নয়, কম্যান্ডো বাহিনী এনএসজি-কেও সতর্ক করা হয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে অভিযানে যাওয়ার জন্য প্রস্তত থাকতে বলা হয়েছে এনএসজিকে। উড়ান সংস্থাগুলিকেও নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।
প্রতিটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই যাত্রীদের কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন। শেষ মুহূর্তে চেক-ইন না করতে যাত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছে। তল্লাশি এবং নজরদারি অভিযানে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতার করার অনুরোধও জানানো হয়েছে যাত্রীদের।