খাদ্য সুরক্ষার চাল বণ্টন করার জন্য কমিশনের প্রয়োজনীয় টাকা দেওয়া না হলে আগামী দিনে চাল তুলবেই না সমবায় সমিতি। আজ করিমগঞ্জ জেলার ৩৩টি সমবায় সমিতির পদাধিকারীরা একজোট হয়ে জেলাশাসকের কাছে তাদের ‘চরমপত্র’ তুলে দেন। খাদ্য সুরক্ষার অধীনে করিমগঞ্জ জেলায় সাড়ে ১০ লক্ষ হিতাধিকারী রয়েছেন। ৩ টাকা প্রতি কিলো দরে মাসে ৫ কেজি করে চাল পায় তারা।
সমিতির বক্তব্য, খাদ্য নিগম থেকে ৩ টাকা দরে চাল ক্রয় করে একই পরিমাণ টাকায় তা বণ্টন করতে হয়। এর ফলে সমবায় সমিতি, এমনকী রেশন ডিলারদের কোনও লাভই হয় না। অথচ প্রতি কুইন্ট্যাল চালের জন্য তাদের ১০০ টাকা করে পাওয়ার কথা। সরকার সেই টাকা দেবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু গত পাঁচ মাস থেকে সমবায় সমিতিগুলি কিংবা ডিলাররা চাল বণ্টনের জন্য একটি টাকাও পাননি। আজ করিমগঞ্জ হোলসেল কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান সুব্রত দেবের নেতৃত্বে সঞ্জীব চক্রবর্তী, বিষ্ণুপদ দেবরায়, মাশুক আহমদ-সহ সমবায় সমিতির সদস্যরা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানান। জেলাশাসককে তাঁরা জানিয়েছেন, টাকা না পেলে ২৬ জুলাই থেকে তাঁরা ওই চাল বণ্টন করবেন না। তাঁদের বক্তব্য, খাদ্য নিগমের গুদাম থেকে তাঁরা এই চাল সংগ্রহ করে নিয়ে আসার জন্য পরিবহন খরচ বাবদ টাকা পান না। সুব্রতবাবুদের বক্তব্য, লাভ না করে কোনও ব্যবসায়ী টিকে থাকতে পারেন না। জেলাশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।