Manipur Violence

মণিপুরে ফিরতে চান না আশ্রয় শিবিরের কেউই

দুদিন ধরে যে সব মেইতেই পরিবার এসেছেন, কর্মসূত্রে তাঁরা মিজোরামে ছিলেন। এখন ইম্ফলে ফিরতে একেবারেই রাজি নন শরণার্থীরা। বারবার বলেন, “এই অবস্থায় কী করে নিজেদের বস্তিতে ফিরি।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি ও শিলচর শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ০৮:৩২
Share:

গত ৮১ দিন ধরে সংঘর্ষ চলছে মণিপুরে। —ফাইল চিত্র।

দুই আশ্রয় শিবিরের মাঝে শুধু একটি নদী। এ পারে মারকুলিনে আগে থেকেই রয়েছেন জো জনগোষ্ঠীর মানুষ। ওপারে বিন্নাকান্দিতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন মেইতেইরা। বরাক নদীর উজানে জো-দের গ্রাম। মেইতেইরা এসেছেন মিজোরাম থেকে। মণিপুরে দুই কুকি জনজাতির মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণের ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হলে এর প্রভাব পড়ে মিজোরামেও। পিস অ্যাকর্ড মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (পামরা) নামে প্রাক্তন জঙ্গি সংগঠনের হুঁশিয়ারিতে মেইতেইরা সে রাজ্যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংগঠনটি অবশ্য পরে মেইতেইদের মিজোরাম ছাড়ার হুমকির কথা অস্বীকার করেছে।

Advertisement

তবু আতঙ্কে রবিবার ৪১ জন বিন্নাকান্দির শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। সোমবার এসেছেন আরও ৮ জন। বিন্নাকান্দি ছাড়াও কাছাড় জেলার সোনাইয়ে এ দিন এসেছেন ৩০ জন। আরও শতাধিক মেইতেই রয়েছেন স্বজনদের বাড়িতে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ২০০-র কাছাকাছি। জো-রাও এর কম নয়৷

দুদিন ধরে যে সব মেইতেই পরিবার এসেছেন, কর্মসূত্রে তাঁরা মিজোরামে ছিলেন। এখন ইম্ফলে ফিরতে একেবারেই রাজি নন শরণার্থীরা। বারবার বলেন, “এই অবস্থায় কী করে নিজেদের বস্তিতে ফিরি।”

Advertisement

মণিপুরে গত ৮১ দিন ধরে চলা সংঘর্ষের জেরে দেখা দিয়েছে তীব্র পণ্যসংকট। সেই সমস্যা মেটাতেই গুয়াহাটি থেকে মালগাড়ি করে প্রথম বার পণ্য পাঠানো হল মণিপুরে। নোনে জেলার খোংসাং স্টেশনে ট্রেনকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ, পূর্ত মন্ত্রী গোবিন্দাস কনথৌজাম, ত্রাণ ও বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী আওয়াংবৌ নেওমাই, পরিবহণ মন্ত্রী খাসিম বাসুম।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অত্যাবশ্যকীয় ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বহনকারী মালবাহী ট্রেনটিতে ১১টি ওয়াগন ছিল। সেখানে ধুপগুড়ি থেকে ২ ওয়াগন আলু, আজারা থেকে ৩ ওয়াগন চিনি, গুয়াহাটি থেকে ৬ ওয়াগন নিত্যব্যবহার্য পণ্য লোড করা হয়। এ দিকে মণিপুরে তৃতীয় বার কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিংহের বাড়িতে আক্রমণ হল। তাঁর বাড়ির সামনে মহিলাদের বিক্ষোভ মিছিল চলছিল। মহিলাদের অনেকে ক্ষিপ্ত হয়ে রঞ্জনের বাড়িতে পাথর ছুড়তে শুরু করেন।

বিজেপির কুকি বিধায়ক পাওলিয়েনলাল হাওকিপ মণিপুরের সংঘর্ষের জন্য রাজ্য সরকারকে আগেই দায়ী করেছিলেন, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পুরনো এক টুইটের তলায় মন্তব্য লেখেন, “আমি আর সংসদের কাজে ফিরতে পারব না, তবে চায়ের দোকান দিতে পারব। এই সরকার প্রতিবন্ধী মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে ৮০ দিন ধরে একটি জনজাতিকে নিকেশ করতে উঠেপড়ে লেগেছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement