ভারকালা থানার সাব-ইনস্পেক্টর অ্যআনি সিবা।
যে এলাকায় এক সময় লেবুজল এবং আইসক্রিম বিক্রি করতেন, আজ তিনি সেই এলাকারই এক জন পুলিশ অফিসার।
অ্যানি সিবা। বয়স ৩১। কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের ভারকালা থানার সাব ইনস্পেক্টর। কলেজের প্রথম বর্ষে পড়ার সময় পরিবারের অমতে তাঁর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন অ্যানি। সন্তানসম্ভবাও হয়ে পড়েন। ঠিক সেই সময়েই বয়ফ্রেন্ড তাঁকে ছেড়ে চলে যান। অথৈ জলে পড়েন অ্যানি। বাড়িতেও ফেরার উপায় ছিল না। তার পরই শুরু হয় জীবন সংগ্রাম।
অ্যানি জানান, সন্তান জন্মানোর পর বাড়িতে ফিরেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ঘরে তুলতে অস্বীকার করা হয়। ভাড়াবাড়িতে ছেলে শিবসূর্যকে নিয়ে দিন কাটাতে শুরু করেন। পেট চালানোর জন্য মশলা, সাবানের ব্যবসা শুরু করেন। কাজ করেন বিমা সংস্থার এজেন্ট হিসেবেও। এমনকি ভারকালা এলাকায় লেবু জল, আইসক্রিমও বিক্রি করতে হয়েছে তাঁকে। এ ভাবেই একটু একটু করে টাকা জমিয়ে সমাজবিদ্যায় স্নাতক করেন।
২০১৪-তে তিরুঅনন্তপুরমে পুলিশের পরীক্ষার জন্য একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন অ্যানি। এক দিকে সংসার, ছেলেকে দেখাশোনা করা, তার পর চাকরির জন্য পড়াশোনা— সবটাই সামলাচ্ছিলেন অ্যানি। ২০১৬-তে পুলিশের পরীক্ষায় পাশ করেন। চাকরিও পান। ২০১৯-এ ফের এসআই পদের পরীক্ষায় বসেন। তাতেও পাশ করেন। এ বছরের ২৫ জুন সেই ভরকালা এলাকারই সাব-ইনস্পেক্টর হয়ে আসেন অ্যানি। ১০ বছর আগে যে এলাকায় অ্যানি লেবু জল বিক্রি করতেন, আজ সেই এলাকা রক্ষার দায়িত্ব তাঁর হাতে।