এই সেই বহুমূল্য ছুরি। ছবি: সংগৃহীত।
একটি ছুরির দাম চারশো বা পাঁচশো নয়, চার লক্ষ টাকা! আর পাঁচটা ছুরির মতোই দেখতে। খুব একটা ফারাক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবুও কেন এত দাম এই ছুরির?
এর বহুমূল্য দামের রহস্য অবশ্য লুকিয়ে আছে ছুরি তৈরির পদ্ধতিতে। এক বিশেষ কায়দায় ছুরিটি বানানো হয় বলেই সেটি দাম কয়েক লক্ষ টাকা ছুঁয়েছে। এই ছুরির দাম ৫০০০ ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৪ লক্ষ টাকারও বেশি।
এই ছুরি জার্মানিতে তৈরি হয়ে আসছে বহু প্রাচীন কাল থেকে। ছুরি নির্মাতাদের দাবি, এটি বানাতে দু’তিনটি বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। ভাল গুণমানের ইস্পাতকে গলিয়ে এই ছুরি বানানো হয় ১২ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপের মধ্যে। ছুরিটির নাম দেওয়া হয়েছে দমিশ্ক। সিরিয়ার রাজধানীর নাম অনুসারে এই ছুরির নামকরণ করা হয়েছে।
কয়েক হাজার বছর পুরনো কৌশলে এই ছুরি বানানো হয়। ১৪ শতকে এই ছুরির খুব চাহিদা ছিল। ছুরি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর সেটিকে তেলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখা হয়। তার পর শেষ পর্যায়ে আরও এক বার ছুরিটিকে ঠিক আকার দেওয়া হয়। তার পর ধারালো করে তোলা হয়। যখন পুরোপুরি তৈরি হয়ে যায়, ছুরিটিকে অ্যাসিডে ডুবিয়ে রাখা হয়। ছুরির হাতল কাঠ, হাড় অথবা হাতির দাঁত দিয়ে বানানো হয়।