লক্ষণটা কিসের, পুরোই ধোঁয়াশা

লক্ষণটা ঠিক কিসের? বুঝে উঠতে পারছেন না জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ। এমনকি তামাম দেশ। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

কাশ্মীরিদের মধ্যে এমন আতঙ্ক কখনও দেখেননি মেহবুবা মুফতি। কোনও তথ্য না-পেয়ে বিভ্রান্ত ওমর আবদুল্লাও।

Advertisement

লক্ষণটা ঠিক কিসের? বুঝে উঠতে পারছেন না জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ। এমনকি তামাম দেশ।

জইশ-হামলার আশঙ্কা নিয়ে কেমন তথ্য রয়েছে সরকারের কাছে? বলছে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জল্পনা বাড়ছে বাড়তি বাহিনী মোতায়েনের কারণ নিয়েও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূ্ত্রে বলা হচ্ছে, কেন ও কোন পরিস্থিতিতে কোথাও সেনা বা বাহিনী বাড়ানো বা কমানো কিংবা মোতায়েন করা হচ্ছে— এ সব বিষয় প্রকাশ্যে আলোচনা করার বিষয় নয়। মন্ত্রক জানিয়েছে, দ্রুত বাহিনী আনা-নেওয়ার জন্য সি-১৭-র মতো ভারি বিমানকে কাজে নামানো হয়েছে। ১০ হাজারের পরে আরও ২৮ হাজার আধাসেনাকে উপত্যকায় আনার খবর খারিজ করেছে মন্ত্রক।

Advertisement

এ দিন যাত্রা-বন্ধের কথা সামনে আসার আগে এ দিনই জম্মু-কাশ্মীরে বাড়তি সেনা তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ জানান ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আব্দুল্লা। টুইটারে লেখেন, ‘‘কাশ্মীরে এটা কী হচ্ছে? কী এমন ঘটেছে যে সেনা তৎপরতা এত বাড়াতে হচ্ছে! আশা করি এটা ৩৫-এ সংক্রান্ত নয়। নিশ্চয়ই এর অন্য কোনও কারণ রয়েছে।’’

তবে কিছু সূত্রে বলা হচ্ছে, সামনেই স্বাধীনতা দিবস। প্রতি বছরই এই সময়ে জম্মু-কাশ্মীর-সহ গোটা দেশেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। এ বছর জম্মু-কাশ্মীরে ধুমধাম করে স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপনের পরিকল্পনা রয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার ও শাসক শিবিরের। বিশেষ প্রস্তুতি সে কারণেও।

কিছু ধর্মস্থান থেকে নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া ও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরমের ছুটি (বৃহস্পতিবার থেকে) ১০ দিন বাড়িয়ে দেওয়ার গুজব ছড়ানো হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতেও স্থানীয়দের মধ্যে এই আশঙ্কা বাড়ে যে, আগামী ক’দিনে বড় কিছুই ঘটতে চলেছে ভূস্বর্গে। আজ রাজ্যকে পর্যটক-মুক্ত করার সরকারি ‘অ্যাডভাইজ়রি’ জারি করায় চরম উদ্বেগে উপত্যকা। আগামী কিছু দিন ‘অশান্তির আশঙ্কায়’ মানুষ ছুটছেন যথা সম্ভব বেশি দিনের বাজারহাট করে রাখতে, এটিএম থেকে টাকা তুলতে, গাড়ির জন্য তেল কিনতে। মার খাবে তাঁদের ব্যবসাও। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে হোটেল মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই মুহূর্তে যেন নতুন করে কাউকে ‘চেক ইন’ করতে দেওয়া না-হয়। এতে শ্রীনগর ও উপত্যকার অন্যত্র সকলেই কমবেশি বিভ্রান্ত। যে সব পর্যটক এসে পৌঁছেছেন, তাঁরা পড়েছেন বিপাকে। বিশেষ হেলিকপ্টারে জম্মুতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা জানানো হলেও, তার সুযোগ পাওয়া না-পাওয়া নিয়েও চরম বিভ্রান্তি।

মনমোহন সিংহের নেতৃত্ব কংগ্রেসের জম্মু-কাশ্মীর নীতি নির্ধারণ কমিটি আজ বৈঠকে বসেছিল। জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় বৈঠকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement