প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
ব্রাজিলকে জি২০-র প্রেসিডেন্ট পদ হস্তান্তরের সময়ে নিবন্ধ লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাতে তিনি স্পষ্ট লিখলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এবং সাধারণ নাগরিকদের নির্বিচার হত্যা কোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ নিতে হবে। শত্রুতার ঊর্ধ্বে উঠে মানবতাকে বেছে নিতে হবে, জোরের সঙ্গে বলতে হবে এটা যুদ্ধের যুগ নয়।’
বুধবার ভারতের জি২০ সভাপতিত্ব গ্রহণের ৩৬৫ দিন পূর্ণ হল। এই মুহূর্তটি ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’, ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’-এর চেতনাকে প্রতিফলিত করার ক্ষণ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, কোভিড-পরবর্তী, যুদ্ধের আবহে দম বন্ধ করা এক পরিস্থিতিতে এই সভাপতিত্ব গ্রহণ করে ভারত বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে, মানবকেন্দ্রিক উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে। ‘কিছু স্বার্থান্বেষীর’ জন্য যে বহুপাক্ষিকতা ব্যাহত হচ্ছিল, আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করিয়ে ভারতের নেতৃত্বে তা ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন, উন্নয়নশীল দেশগুলির (গ্লোবাল সাউথ) আশা-আকাঙ্ক্ষা-সমস্যার দিকে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি ফেরানো গিয়েছে। অন্তর্ভুক্তি, উচ্চাকাঙ্ক্ষী, কর্মমুখী ও নির্ণায়ক— এই নীতিগুলির রূপায়ণে তাঁরা কতটা দায়বদ্ধ, জি২০-র নতুন দিল্লি ঘোষণাপত্র তার প্রমাণ বলেও তাঁর দাবি। জলবায়ু ক্ষেত্রে জৈব জ্বালানি জোট প্রতিষ্ঠাতেও ভারতের সভাপতিত্ব সাহায্য করেছে বলে লিখেছেন মোদী। নিজস্ব প্রতিবেদন