দিল্লি পুলিশের বছর পঞ্চান্নর সাব-ইনস্পেক্টর শ্যামলান পিপি। ছবি: সংগৃহীত।
কাজের চাপ, ফলে সময়ের অভাব। ফলে ছোটবেলার ইচ্ছাগুলোকে মেরে ফেলা— আজকের জীবনে যেন এটাই ঘোর বাস্তব। কিন্তু কোনও কিছুর প্রতি গভীর ভালবাসা থাকলে সময়ের অভাবটা যে স্রেফ অজুহাত, তা প্রমাণ করলেন শ্যামলান পিপি। ছোটবেলার সেই ভালবাসার বিষয় দিল্লি পুলিশের বছর পঞ্চান্নর এই সাব-ইনস্পেক্টরকে এনে দিয়েছে একাধিক বিশ্বরেকর্ডও। সৌজন্যে ক্যালিগ্রাফি।
অক্ষর যখন ছবির মতোই সুন্দর, হাতের লেখা যখন আলপনার মতো সাজানো তখন তা দেখেও চোখ জুড়িয়ে যায়। পড়তেও ভাল লাগে। ক্যালিগ্রাফি হল সেই শিল্প যা অক্ষর বা হরফকে ছবির মতোই সুন্দর করে তোলে। সাধারণত, বাজারে উপলব্ধ নানা রকমের শুভেচ্ছা বার্তার কার্ডে ক্যালিগ্রাফির দেখা মেলে। বইয়ের মলাটে, বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং-ব্যানারেও ব্যবহার করা হয় এই ক্যালিগ্রাফি। শুধু ছাপার হরফেই নয়, কারও কারও হাতের লেখাও ছাপার অক্ষরের মতোই সুন্দর, সাজানো। যেমন, দিল্লি পুলিশের বছর পঞ্চান্নর সাব-ইনস্পেক্টর শ্যামলান পিপি-র হাতের লেখা। কর্মক্ষেত্রের নানান চাপ সামলেও তিনি বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁর ছোটবেলার শখ, ক্যালিগ্রাফি-কে।
আরও পড়ুন:
শহিদ স্মরণে এ বার নীরবতা পালন বিমান যাত্রীদের
ভাড়া বাড়ল মেট্রোর, পথে কেজরী ও সঙ্ঘ
যখন তাঁর বয়স সাত কী আট বছর, তখন থেকেই ক্যালিগ্রাফির প্রতি বিশেষ ঝোঁক শ্যামলানের। ছোটবেলার নিছক ভাললাগায় ক্যালিগ্রাফিতে হাত পাকানো শ্যামলান ভাবেননি এর জন্য তিনি কোনও দিন বিশেষ স্বীকৃতিও পেতে পারেন। কারণ, তাঁর ছেলেবেলায় বিষয়টিকে তেমন একটা প্রচলিত বা পরিচিত ছিল না সবার কাছে। সুন্দর হাতের লেখার জন্য একটু আধটু প্রশংসা অবশ্য জুটে যেত মাঝে মধ্যে। কিন্তু এখন এই সাব-ইনস্পেক্টরের ঝুলিতে রয়েছে ইন্ডিয়া স্টার বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ও চার বারের লিমকা বুক অফ রেকর্ডের খেতাব। শ্যামলান জানান, মায়ের উত্সাহেই ক্যালিগ্রাফির প্রতি তাঁর ভালবাসা তৈরি হয়। ১৯৮২-তে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু হাজার কাজের চাপের মধ্যেও ক্যালিগ্রাফির চর্চা বন্ধ করেননি তিনি। এ কাজে তাঁকে উত্সাহিত করার জন্য তাঁর সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর শ্যামলান।