ফাইল চিত্র।
প্রথম দুই ধাক্কা সামলেছে দিল্লি। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউও খুব শীঘ্রই কেটে যাবে বলে আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। শীতের শুরুতেই শস্যের গোড়া পোড়ানো ও যানবাহনের ধোঁয়া ও দূষণে করোনা-সঙ্কট চরমে পৌঁছেছে দিল্লিতে। প্রথম দফার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার কিছু দিনের মধ্যেই ১৭ সেপ্টেম্বর সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত করে রাজধানীকে। গত সপ্তাহে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফা। যার প্রেক্ষিতে কেজরীবাল বলেছেন, ‘‘দিল্লিবাসী এত দিন যে ভাবে সাহায্য করেছে, সে ভাবে পাশে থাকলে এই ধাক্কাও আমরা কাটিয়ে উঠব।’’
কেজরীর বক্তব্য, সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে মার্চে করোনা-আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ৩২ হাজার ভারতীয় দিল্লি এসেছিলেন। যা পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করেছে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর। তৃতীয় ধাক্কা শুরু হতেই কয়েক দিন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে শয্যা-সঙ্কট চরমে উঠেছে। শুক্রবার দিল্লিতে প্রথম বারের জন্য দৈনিক আক্রান্ত ৭ হাজার পেরিয়ে যায়। রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার রাণা এ কে সিংহের বক্তব্য, এই অবস্থায় চাইলেই নতুন আইসিইউ শয্যা তৈরি করা যাবে না কারণ তার জন্য পরিকাঠামো ও লোকবল প্রয়োজন। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭৯ জনের, জুনের পর থেকে যা সর্বোচ্চ।
দিল্লির উদাহরণ টেনে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আটকানোর জন্য আজই রাজ্যের মানুষকে সাবধান করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। রাজ্যবাসীকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘ইংল্যান্ড, স্পেনের মতো পশ্চিমি দেশ এমনকি দিল্লিতেও সংক্রমণ বিপুল মাত্রায় বেড়েছে। এই দ্বিতীয় ঢেউ কে ঢেউ বলা যায় না। এটা সুনামি।’’
আরও পডুন: সংযমের কড়া বার্তা তেজস্বীর
আরও পডুন: কোভিড নয়, বিপর্যয়ের মূলে নোটবন্দি: রাহুল
উদ্ধব জানান, অতিমারির কারণে মার্চ থেকে বন্ধ থাকা মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলি দীপাবলির পরে খোলার কথা ভাবছে তাঁর সরকার। ধর্মীয় স্থানে সাধারণত, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জমায়েত বেশি হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ আমার সমালোচনা করছে। আমি তার মুখোমুখি হতে রাজি। এক জন কোভিড রোগীর থেকে ৪০০ জনের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। আমি প্রবীণদের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক বেশি সচেতন।’’