—প্রতীকী চিত্র।
পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্ত্রী, এই সন্দেহেই তাঁকে খুন করে বসলেন যুবক। স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করা তাঁর দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে। যুবক স্বীকার করে নিয়েছেন খুনের কথা।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের নিশাতপুরা এলাকার। মৃত তরুণীর বয়স ২২ বছর। তাঁর স্বামী পেশায় অটোচালক। পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় গত কয়েক দিন ধরে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকছিলেন তরুণী। সেখান থেকেই তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম নাদিম উদ্দীন। তাঁর অটো থেকে তরুণীর দেহের কিছু আধপোড়া অঙ্গপ্রত্যঙ্গও উদ্ধার করা হয়েছে। গত ২১ মে বাপের বাড়ি থেকে তরুণী নিখোঁজ হয়ে যান। পুলিশে খবর দেয় পরিবার। তদন্ত শুরু করে তরুণীর স্বামীকে ধরে পুলিশ। জেরার মুখে তিনি খুনের কথা স্বীকার করে নেন।
যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বলে তাঁর সন্দেহ হয়। এর পরেই তাঁকে ডাকতে যান যুবক। তরুণী এলে তাঁর ফোন নিয়ে নেন তিনি। সেখানে একটি ভিডিয়ো দেখেন। সেই ভিডিয়ো দেখে তাঁর মাথা গরম হয়ে যায় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অভিযুক্ত। রাগের মাথায় তিনি স্ত্রীর গলা টিপে ধরেন। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তরুণীর।
এর পর স্ত্রীর দেহ নিজের অটোতে তুলে নেন অভিযুক্ত। কেরোসিন ঢেলে অটোতেই দেহ জ্বালিয়ে দেন। দেহের বাকি অংশ পরিত্যক্ত এলাকায় পুঁতে দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সে সব উদ্ধার করেছে। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।