প্রতীকী ছবি।
ভারত সরকারের সব নিয়ম মেনেই চলবে তারা। নিষিদ্ধ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিবৃতি জারি করে এমনটাই জানাল জনপ্রিয় ভিডিয়ো অ্যাপ সংস্থা টিকটক। পাশাপাশি সংস্থাটি এটাও নিশ্চিত করেছে যে, দেশের গ্রাহকদের কোনও তথ্যই বিদেশে বা চিনের হাতে তুলে দেয়নি তারা।
এ দিন টিকটক ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি নিয়ে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে তাদের। টিকটক ইন্ডিয়ার প্রধান নিখিল গাঁধী বলেন, “নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই টিকটক গ্রাহকদের সব তথ্য গোপন রাখে। এবং তা ভারতের আইন মেনেই।” তবে ভবিষ্যতে কোনও গ্রাহকের তথ্য যাতে পাচার না হয় সে দিকে কড়া নজর রাখা হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছে এই জনপ্রিয় ভিডিয়ো অ্যাপ সংস্থাটি।
টিকটক ইন্ডিয়ার প্রধান নিখিল গাঁধী বলেন, “সরকার থেকে আমাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সেই ব্যাখ্যা দিতে প্রস্তুত আমরা।” তিনি আরও বলেন, “দেশের ১৪টি ভাষায় এই অ্যাপ পাওয়া যায়। কয়েক লক্ষ কোটি গ্রাহক রয়েছে টিকটকের। ইন্টারনেটেও গণতান্ত্রিক জোয়ার এনেছে এই অ্যাপ।” দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশবাসীর তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সোমবারই টিকটক, শেয়ারইট-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ চিনের বিরুদ্ধে, টিকটক-সহ ৫৯ অ্যাপ নিষিদ্ধ দেশে
আরও পড়ুন: টিকটক, শেয়ারইট ছাড়াও বাকি ৫৭টি নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপ কী কী দেখে নিন
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিনের মধ্যে একটা উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গালওয়ান নিয়ে দু’দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়ে গিয়েছে। দফায় দফায় বৈঠকের পরও এখনও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। সংঘর্ষের পর থেকেই চিনা পণ্য বয়কট করা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে আওয়াজ উঠছে। সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান তাঁর উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রককে চিনা পণ্য কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।