বর্ষবরণের রাতে অঞ্জলি সিংহকে গাড়িচাপা দিয়ে খুনের অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত।
চাকার নীচে এক জন চাপা পড়েছে বুঝেও গাড়িটিকে এক বার সামনে নিচ্ছিলেন, এক বার পিছনের দিকে। অঞ্জলি গাড়ির নীচে উপুড় হয়ে পড়েছিলেন। ওর পা আটকে গিয়েছিল। বার কয়েক গাড়িটিকে সামনে-পিছনে করার সময় নীচে আটকে থাকা অঞ্জলি যন্ত্রণায় চিৎকার করছিলেন। ঘটনার তিন দিন পর প্রকাশ্যে এমনটাই দাবি করলেন অঞ্জলির বন্ধু নিধি।
সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “গাড়িটা ধাক্কা মারতেই আমি এক দিকে ছিটকে পড়ে যাই। আর গাড়ির সামনে পড়ে যায় অঞ্জলি। ও গাড়ির নীচে আটকে গিয়েছিল। আরোহীরা বুঝতে পেরেছিল যে, গাড়ির নীচে কেউ আটকে রয়েছে। ওরা তার পরেও ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার বন্ধুর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়। অঞ্জলি চিৎকার করছিল। এই দৃশ্য দেখে আমি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে ওখান থেকে চলে গিয়েছিলাম। ভয় পেয়ে বাড়িতে গিয়ে কাউকে কিছু বলিনি। শুধু কাঁদছিলাম।”
ইন্ডিয়া টুডে টিভি-র কাছে নিধি দাবি করেছেন, ঘটনার দিন পনেরো আগে অঞ্জলির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তার পর তাঁদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তিনি বলেন, “৩১ ডিসেম্বর অঞ্জলি আমাকে ফোন করে। তার পর সুলতানপুরী থেকে আমাকে নিয়ে যায়। তার পর আমরা রোহিণী যাই। সেখান থেকে অঞ্জলি ওদের বাড়িতে নিয়ে যায়। তার পর সেখান থেকে বেরিয়ে আমরা হোটেলে যাই।”
নিধি আরও দাবি করেছেন, তাঁরা রাত ২টো নাগাদ হোটেল থেকে বেরিয়ে আসেন। অঞ্জলি খুব রেগে ছিলেন। এই দুর্ঘটনার আগে ট্রাকের সঙ্গেও এক বার ধাক্কা থেকে অল্পের জন্য বেঁচেছিলেন। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা না হলে নিজেকে শেষ করে দেওয়ারও কথা বলেছিলেন অঞ্জলি। নিধির কথায়, “আমি ওকে গাড়ি থামানোর কথা বলি। কিন্তু ও বলে আস্তে গাড়ি চালাবে। কিন্তু তার পরেই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িটি যদি ওরা থামাত, তা হলে হয়তো অঞ্জলিকে বাঁচানো যেত।”
এত কিছু দেখার পরেও কেন পুলিশকে জানাননি তিনি? নিধিকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করায় তিনি দাবি করেন, “প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সব কিছু কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশকে বলার মতো অবস্থায় ছিলাম না। ভয় পেয়েছিলাম, এর দোষ যদি আমার ঘাড়ে এসে পড়ে। পুলিশ যখন আমার কাছে আসে, সব ঘটনা খুলে বলেছি।”