Hit and Run

বর্ষবরণের রাতে গাড়িচাপা, পাঁচ দিন পরেও জ্ঞান ফেরেনি নয়ডার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর

সুইটির মা লালমণি বলেন, “চিকিৎসকরা বলেছেন যে, মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে সুইটির। প্রচুর টাকা লাগবে। আমরা দিনমজুরের কাজ করি। কোথায় পাব এত টাকা! আমার মেয়েটা পড়াশোনায় খুব ভাল।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়ডা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:১১
Share:

মাথায় এবং পায়ে গুরুতর চোট গ্রেটার নয়ডার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী সুইটি কুমারীর। ছবি: সংগৃহীত।

দিল্লিতে যখন অঞ্জলি সিংহের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে, ঠিক একই রকম ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে রাজধানী থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে গ্রেটার নয়ডায়। দু’টি ঘটনার ক্ষেত্রে স্থান আলাদা হলেও দিন কিন্তু এক। বর্ষবরণের রাত। দু’টি ঘটনার মধ্যে ফারাক মাত্র কয়েক ঘণ্টার। একটি ৩১ ডিসেম্বর রাত ৯টায়। অন্যটি, রাত পৌনে ২টোয়। দিল্লির ঘটনায় অঞ্জলির মৃত্যু হয়েছে। আর নয়ডার ঘটনায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সুইটি কুমারী।

Advertisement

বর্ষবরণের রাতে তিন বন্ধু বেরিয়েছিলেন। রাত তখন ৯টা। বাসস্টপের কাছে সুইটিরা যখন পৌঁছয়, আচমকাই পিছন থেকে একটি গাড়ি এসে সজোরে ধাক্কা মারে তিন জনকে। দু’জন ছিটকে পড়েন। আর সুইটিকে গাড়িটি পিষে দিয়ে চলে যায়। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে গত পাঁচ দিন ধরে অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছেন সুইটি। তাঁর দুই বান্ধবীরও চিকিৎসা চলছে।

বিহারের বাসিন্দা সুইটি। পড়াশোনার সূত্রে গ্রেটার নয়ডাতেই বেশ কয়েক বছর ধরে রয়েছেন। ওখানকারই একটি কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন। বি টেক চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী। সুইটির মাথায় এবং পায়ে গুরুতর চোট। গত পাঁচ দিন ধরে তিনি লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। মাথায় অস্ত্রোপচার হয়েছে। ঘটনাচক্রে, দিল্লির ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু সুইটিকে যাঁরা গাড়িচাপা দিয়েছেন, তাঁদের এখনও কোনও হদিস পায়নি পুলিশ।

Advertisement

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সুইটি। তাঁর বন্ধুরা জানাচ্ছেন, সুইটির চিকিৎসার জন্য যা খরচ লাগবে, তা জোগাড় করার মতো সামর্থ্য নেই তাঁর পরিবারের। তাই বন্ধুরাই সেই খরচ তোলার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন। পটনা থেকে তাঁর পরিবার গ্রেটার নয়ডায় পৌঁছেছে। সুইটির মা লালমণি বলেন, “চিকিৎসকরা বলেছেন যে, মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে সুইটির। প্রচুর টাকা লাগবে। আমরা দিনমজুরের কাজ করি। কোথায় পাব এত টাকা! আমার মেয়েটা পড়াশোনায় খুব ভাল।”

সুইটির ভাই ইতিমধ্যেই অর্থসাহায্যের জন্য সমাজমাধ্যমে একটি বার্তা দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “আমি সন্তোষ কুমার। দিদি সুইটি কুমারী দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ওর চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। আরও ১০ লক্ষ টাকা দরকার।”

গ্রেটার নয়ডার এক পুলিশ আধিকারিক দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement