Nitish Kumar

ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন রয়েছে, সিএএ নিয়ে অন্য সুর নীতীশের গলায়

এনআরসি-র বিরোধিতা করলেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এত দিন নীরব ছিলেন জেডিইউ সুপ্রিমো।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:৩৮
Share:

নীতীশ কুমার। —ফাইল চিত্র।

লোকসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) পক্ষে ভোট দিয়েছিল তাঁর দল। কিন্তু দেশ জুড়ে বিক্ষোভের আবহে এ বার অবস্থান পাল্টালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা এনডিএ শরিক সংযুক্ত জনতা দলের (জেডিইউ) সভাপতি নীতীশ কুমার। জানিয়ে দিলেন, সিএএ নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে।

Advertisement

শুরু থেকেই এনআরসি-র বিরোধিতা করে আসছেন নীতীশ কুমার। তবে সিএএ-র ব্যাপারে এত দিন মুখে কুলুপ এঁটেই ছিলেন তিনি। এমনকি সংসদে ভোটাভুটি চলাকালীন তাঁর দল সিএএ-র সমর্থনে ভোট দিলেও, তা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করতে দেখা যায়নি তাঁকে।

সোমবার রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণে শান দেন লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) বিধায়করা। সেইসময় বিধানসভায় দাঁড়িয়েই নীতীশ জানিয়ে দেন, বিহারে এনআরসি করার প্রশ্নই ওঠে না। এখানে তার কোনও প্রয়োজনই নেই। এর পরেই সিএএ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন নীতীশ। তিনি বলেন, ‘‘সিএএ নিয়ে আরও আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। প্রত্যেকে রাজি থাকলে, বিধানসভা কক্ষেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। আর বলে রাখি, এ রাজ্যে এনআরসি করার প্রশ্নই ওঠে না। এর কোনও যৌক্তিকতা নেই।’’

Advertisement

তবে জেডিইউ-র ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’ প্রশান্ত কিশোর এ নিয়ে শুরু থেকেই সরব ছিলেন। বিহারে এনআরসি এবং সিএএ—দু’টোর একটাও কার্যকর করা যাবে না বলে একাধিক বার মন্তব্য করেছেন তিনি। সংসদে নাগরিক সংশোধনী বিল (সিএবি) পাশে সমর্থন দেওয়ায় নিজের দলকেও একহাত নেন প্রশান্ত। কেন্দ্রের উপর চাপ সৃষ্টি করতে সমস্ত বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানান। তার পরেই এ দিন মুখ খোলেন নীতীশ। বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এক দিকে যখন দুই দলের মধ্যে যখন চাপা উত্তেজনা কাজ করছে, ঠিক সেইসময় নীতীশের এই মন্তব্য বিজেপির অস্বস্তি বাড়াবে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। তাঁদের একাংশের মতে, সরাসরি সিএএ-র বিরোধিতা না করলেও, এ নিয়ে যে আলোচনার অবকাশ রয়েছে, সেই বিতর্কই উস্কে দিলেন নীতীশ কুমার।

সিএএ নিয়ে এর আগে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছিল তাদের আর এক শরিক শিরোমণি অকালি দল। তারা জানায়, ‘‘আমরা চাই, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে মুসলিমদের যুক্ত করা হোক। শুধুমাত্র শিখ নয়, সব ধর্মের মানুষের কল্যাণ চাই আমরা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement