অমিত শাহ।
দিল্লিতে হয়ে চলা সাম্প্রতিক হিংসার জন্য ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ দায়ী বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গ্যাং-এর সদস্যদের শাস্তি দেওয়ারও পক্ষপাতী তিনি। কিন্তু শাস্তি পাবে কারা! কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারাই আজ স্বীকার করে নিলেন যে, বাস্তবে এ ধরনের কোনও গ্যাং-এর অস্তিত্ব নেই। তাঁদের কাছে এ নিয়ে কোনও খবরও নেই। অথচ, এ যাবৎ ওই গ্যাং-এর মূল পৃষ্ঠপোষক রাহুল গাঁধী বলে সরব ছিলেন বিজেপি নেতারা।
২০১৬ সালে ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমারের নেতৃত্বে জেএনইউ-তে হওয়া বিক্ষোভে প্রথম ওই শব্দবন্ধটি ব্যবহার হয়েছিল। সঙ্ঘ তথা বিজেপির পক্ষ থেকে মূলত রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে বোঝাতেই টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং শব্দটি প্রয়োগ করা হয়েছিল। তারপর থেকে গত পাঁচ বছরে যেখানেই সরকার-বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়েছে, সেখানেই ওই গ্যাং-এর ছায়া দেখেছে শাসক শিবির। এমনকি ২৬ ডিসেম্বর একটি জনসভায় টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং-র সদস্যদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে সরব হতে দেখা যায় অমিত শাহকে।
সম্প্রতি ওই গ্যাং-এর বিষয়ে তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলেন সাকেত গোখলে নামে এক ব্যক্তি। সেই প্রশ্নের উত্তরে আজ অমিত শাহের মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং-এর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে কোনও তথ্য নেই। যে উত্তর দেখে কংগ্রেসের প্রশ্ন, তা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাঁর দল এ যাবৎ কি ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন!