এস্থার দুফলো। —ফাইল চিত্র
করোনা-আবহে বন্ধ হয়েছে স্কুল। অনলাইনে চলছে পঠনপাঠন। কিন্তু ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে এই নতুন ধারার রূপায়ণ অর্থহীন বলে মত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এস্থার দুফলোর। তাঁর দাবি, অনলাইনে পড়াশোনার সুবিধা অল্প কিছু বেসরকারি পড়ুয়ার কাছেই পৌঁছবে। বাড়বে বৈষম্য।
ইন্ডিয়ার ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট-কলকাতার ‘দ্য ফিনান্সিয়াল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেডিং ল্যাবরেটরি’ ও নিউ ইয়র্ক বিশ্ববদ্যালয়ের ‘স্টার্ন স্কুল অব বিজ়নেস’-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনের ভার্চুয়াল সম্মেলনে শুক্রবার মূল বক্তা ছিলেন এস্থার। ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠক্রম ও পদ্ধতিগত সমস্যা নিয়ে তাঁদের আগের একটি প্রকল্পের উপস্থাপনার সময়ে তাঁর বক্তব্য, কোভিড-১৯ উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সুনামি এনেছে। ভারতে স্কুল বন্ধ থাকায় প্রায় ৩২ কোটি পড়ুয়া আপাতত ঘরেই। অন্য দেশে কিছু পরিকল্পনা থাকলেও ভারতে কবে ফের স্কুল খুলবে তা স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে সার্বিক কোনও পরিকল্পনাও নেই। বিভিন্ন রাজ্যের উপর তা নির্ভর করতে পারে।
এর পর তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার মতো দেশ স্কুল বন্ধ করে দ্রুত অনলাইন ব্যবস্থা চালু করে। কিন্তু ভারতে মাত্র গড়ে ২৮% পরিবারের কাছে (২০১৭-১৮ সালের হিসেব) ইন্টারনেট পৌঁছেছে। গ্রামীণ এলাকায় তা মাত্র ১৫%-এর মতো। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে দ্রুত সেই পরিবর্তন গরিব পড়ুয়ার কাছে তা অর্থহীন। অনলাইনের সুবিধা পাবে মূলত উচ্চবিত্ত ও বেসরকরি স্কুলের পড়ুয়ারা।’’
এস্থারের উপস্থাপনার পরে প্রশ্ন ওঠে, নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে কী সেই সমস্যা নিরসনের সম্ভাবনা রয়েছে? এস্থার মনে করেন, তাতে খুব কিছু ফারাক হবে না। বিশেষ করে শিক্ষা ব্যবস্থার তৃণমূল স্তরের সমস্যাগুলি সমাধানের কোনও ইঙ্গিত সেখানে নেই।