কোয়াড গোষ্ঠীর বৈঠকে জয়শঙ্কর। ছবি পিটিআই।
উন্মুক্ত এবং অবাধ সমুদ্র বাণিজ্যপথ তৈরিতে চতুর্দেশীয় অক্ষ বা ‘কোয়াড’ এত দিনে পুরোদস্তুর সামরিক চেহারা পেল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। চিনের সঙ্গে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ভারতের কাছে বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী মাসে দু’দফায় চার দেশের নৌ মহড়ার পর চিন কী ভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, এখন সে দিকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে।
মার্কিন উপ বিদেশসচিব স্টিফেন বিগান আজ বলেন, “আমাদের মত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোয়াডকে আরও প্রতিষ্ঠানিক চেহারা দিতে হবে। আমরা এখন এই অক্ষের অন্যান্য অংশিদারদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে শুরু করেছি।’’
কূটনৈতিক শিবিরে জল্পনা, এ কথা বলার মাধ্যমে ‘ন্যাটোর’ মতো সামরিক জোট তৈরির বার্তা আজ দিয়েছেন মার্কিন কর্তা।
আরও পড়ুন: সতর্কতায় শিথিলতা নয়, বার্তা মোদীর
আরও পড়ুন: কৃষি আইন নাকচ, বিল পাশ পঞ্জাবে
গত সপ্তাহেই ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান — কোয়াড গোষ্ঠীর এই চার দেশের মধ্যে প্রথম বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হল জাপানে। ২০১৭ সালে কোয়াড তৈরি হলেও চিন প্রশ্নে কতটা এগনো হবে আর কতটুকুই বা নরম পন্থা নেওয়া হবে, এই নিয়ে স্থির নীতি ছিল না ভারতের, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক সূত্র।
অন্যান্য দেশগুলিও বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্রগুলিরও চিনের বিরুদ্ধে সরাসরি অক্ষ তৈরি করে তাকে সামরিক চেহারা দেওয়ার ব্যাপারে দ্বিধা ছিলই। কোভিড পরবর্তী বিশ্বে ভূকৌশলগত অবস্থান এবং সমীকরণ বদলেছে। মালাবার নৌ মহড়ায় ভারত, আমেরিকা এবং জাপানের সঙ্গে নভেম্বর মাসে যোগ দেবে অস্ট্রেলিয়াও।