সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত।—ছবি পিটিআই।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে দেশের অন্তত পঁচিশ শতাংশ করোনা সংক্রমণের পিছনে রয়েছেন তবলিগি জামাতের সদস্যেরা। কেন্দ্রের একাংশ তথা শাসক শিবির যখন দেশে করোনা ছড়ানোর জন্য জামাত সদস্যদের দায়ী করার কৌশল নিয়েছে, তখন উল্টে কারও ভুলের জন্য গোটা সম্প্রদায়কে দোষী করার নীতির সমালোচনায় মুখ খুললেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত। আজ অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে সঙ্ঘ কর্মীদের বার্তা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা সকলেই ভারতের সন্তান। কারও ভুলের জন্য আমরা গোটা সম্প্রদায়কে দায়ী করতে পারি না। মনে রাখতে হবে কিছু ভারত-বিরোধী শক্তি ওই বিভেদকে কাজে লাগিয়ে দেশে ভাঙন ধরাতে তৎপর রয়েছে।’’
দেশে প্রথম পর্বের লকডাউনের শুরুতে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিগি জামাতের জমায়েতে একাধিক করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। সব মিলিয়ে তবলিগি জামাত সদস্যদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন প্রায় চল্লিশ হাজার ব্যক্তিকে শেষমেষ নিভৃতবাসে পাঠানো হয়। তবলিগ সদস্যদের বিরুদ্ধে করোনা সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ তুলে সরব হন বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি নেতারা। আজ ভাগবত বলেন, ‘‘আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা প্রশাসনের দায়িত্ব। যদি কেউ ভুল করে থাকে তাহলে সে জন্য গোটা সম্প্রদায়কে দায়ী করা ঠিক নয়।’’ সব ধরনের বৈষম্য, মতপার্থক্য ভুলে দেশের সব শ্রেণির মানুষের হয়ে কাজ করার জন্য আজ সঙ্ঘ কর্মীদের আহ্বান করেন তিনি।
বর্তমান পরিস্থিতি ও দেশবাসীর ভূমিকা নিয়ে বলতে গিয়ে যে ভাবে দেশের মানুষ মাসখানেকের বেশি লকডাউন করে এসেছেন আজ তার প্রশংসা করেন ভাগবত। তিনি আগামী দিনেও দেশবাসীকে লকডাউনের নিয়ম পালন ও প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলার প্রশ্নে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করে ভাগবত বলেন, ‘‘কেন্দ্র সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করায় অন্য দেশের তুলনায় ভারতে করোনা সংক্রমণ অনেক কম ছড়িয়েছে।’’ সম্প্রতি ছেলেধরা সন্দেহে মহারাষ্ট্রের পালঘর এলাকায় দুই সাধুকে পিটিয়ে মেরে ফেলে উত্তেজিত জনতা। আজ সেই ঘটনার নিন্দা করার পাশাপাশি পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভাগবত।
আরও পড়ুন: লকডাউন থেকে পরিযায়ী শ্রমিক, আজ মোদীর কথা মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)