মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফাইল ছবি।
মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীর সাজা এবং লোকসভায় তাঁর সাংসদ পদ খারিজের ঘটনার দিকে নজর রাখছে আমেরিকা। এমনটাই জানালেন সে দেশের সরকারের অন্যতম মুখপাত্র। রাহুলকাণ্ডের উল্লেখ করে আমেরিকার বক্তব্য, আইনের শাসন, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি।
আমেরিকার রাষ্ট্র দফতরের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত পটেল মঙ্গলবার এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। রাহুল গান্ধীর ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারতের আদালতে রাহুল গান্ধীর মামলাটি আমাদের নজরে রয়েছে। দুই দেশই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বিশেষত মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় দায়বদ্ধ। ভারতের ক্ষেত্রে আমরা গণতন্ত্রের গুরুত্ব, মানবাধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি জোর দিচ্ছি। দুই দেশেই গণতন্ত্র রক্ষায় যা জরুরি।”
বেদান্তকে জিজ্ঞাসা করা হয়, রাহুলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমেরিকা কি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে? তার জবাবে আমেরিকান মুখপাত্র বলেন, ‘‘আলাদা ভাবে কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কথা আমরা ভাবছি না। আমরা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে যে কোনও দেশের সরকার-বিরোধী দলের পক্ষ নিয়ে কথা বলে থাকি। এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই।’’
শুক্রবার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। ‘মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে বৃহস্পতিবার রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে গুজরাতের সুরত জেলা আদালত। তাঁকে ২ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে জামিনে মুক্ত হন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সুরত আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কংগ্রেসের দাবি, রাহুলের মুখ বন্ধ করানোর উদ্দেশ্যেই পরিকল্পনামাফিক এই কাজ করেছে মোদী সরকার। সোমবার রাহুলকে সরকারি বাসভবন ছেড়ে দেওয়ার নোটিসও দেওয়া হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এ বার মন্তব্য এল আমেরিকা থেকেও।