কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। —ফাইল চিত্র।
আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় মৃত ব্যক্তিদের চিকিৎসা হচ্ছে বলে প্রশ্ন তুলেছিল সিএজি। ওই তথ্য বিভ্রান্তিমূলক বলে আজ লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের পরে এ বার স্বাস্থ্য মন্ত্রক বিবৃতির মাধ্যমে সিএজি-রিপোর্টের জবাবে পাল্টা সরব হল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সংক্রান্ত সিএজি-র ওই রিপোর্টে (২০১৮-’২১) বলা হয়েছিল, বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মৃত ব্যক্তিরাও আয়ুষ্মান যোজনার লাভ পাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে হাসপাতাল আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছিল বলে মন্তব্য করে সিএজি। যদিও পাল্টা জবাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সাধারণত ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার পরে আয়ুষ্মান বিমার জন্য আবেদন করে থাকেন রোগীর আত্মীয়েরা। যার অনুমোদন পেতে তিন দিন সময় লাগে। তার মধ্যে অনেক রোগী মারা যান। যে-হেতু তাঁদের ভর্তির তারিখ আগে দেখানো হয়েছে, তাই মনে হয় মৃত ব্যক্তিরা বিমার সুবিধা পেয়েছেন। আসলে তা নয়। একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখেই বিমা খাতে অর্থ মঞ্জুর করা হয়। সুতরাং দুর্নীতির কোনও সুযোগ নেই বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
সিএজি রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে একই মহিলার নামে দু’টি হাসপাতালে বিমার অর্থ দেওয়া হয়েছে। জবাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, যখন একজন মা সন্তান প্রসব করেন, তখন তাঁর চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালেই হয়ে থাকে। এ বার সদ্য জন্মানো সন্তান যদি কোনও কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং সেই হাসপাতালে যদি সেই শিশুর চিকিৎসার সুবিধা না থাকে, তখন সেই শিশুকে কোনও অন্য হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সেই সদ্য জন্মানো শিশু দ্বিতীয় হাসপাতালে তার মায়ের আই-কার্ডের ভিত্তিতে ভর্তি হয়। সে কারণেই একটি নম্বরের ভিত্তিতে দু’টি হাসপাতালে বিমার অর্থ প্রদান করা হয়। একটি মায়ের জন্য। অন্যটি শিশুর জন্য।