রাষ্ট্রপুঞ্জে বক্তৃতা দিচ্ছেন টি এস ত্রিমূর্তি। ছবি: টুইটার
মুম্বই বিস্ফোরণের অপরাধীদের আশ্রয় দিয়েছিল পাকিস্তান। গণ্যমাণ্য অতিথির মতো আপ্যায়ণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাদের। রাষ্ট্রপুঞ্জে এ কথা জানিয়ে ভারত বলল, সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে হলে শুধু সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের উপর নজর রাখলেই চলবে না। কিছু কিছু সন্ত্রাসে অন্য দেশেরও মদত থাকে। সে দিকেও নজর দেওয়া উচিত রাষ্ট্রপুঞ্জের সংশ্লিষ্ট কমিটির।
ভারত অবশ্য সরাসরি পাকিস্তানের নাম করেনি। তবে মুম্বই বিস্ফোরণের নেপথ্য কারিগর ডি কম্পানির মাথা দাউদ ইব্রাহিমের দিকে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত করেছে। আর দাউদ যে পাকিস্তানেই রয়েছে তা আগেই স্বীকার করেছে পাক সরকার। ২০২০ সালের অগস্টে পাক সরকার যখন পাকিস্তানের মাটিতে বেড়ে ওঠা ৮৮টি সন্ত্রাস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তখন তার মধ্যে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড দাউদেরও নাম ছিল।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস মোকাবিলা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জে সেই প্রসঙ্গই টেনে এনেছেন ভারতের রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী দূত টি এস ত্রিমূর্তি। বিশ্ব সন্ত্রাস দমন পরিষদ আয়োজিত রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক আলোচনাসভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ত্রিমূর্তি বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের অপরাধীদের অন্য দেশে শুধু আশ্রয়ই দেওয়া হয়নি, তাদের যত্ন-আত্তি করে রাজার হালে রাখা হয়েছে।’’ পাকিস্তানের নাম না করেই ত্রিমূর্তি জানান, রাষ্ট্রপুঞ্জের উচিত এই ধরনের বিষয় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা। কারণ সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে হলে শুধু সন্ত্রাস ছড়ানো সংগঠনগুলির উপরই নজর রাখলে চলবে না। তাদের মদতদাতা রাষ্ট্রের ভূমিকাও চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। ত্রিমূর্তির মতে, তবেই প্রকৃত অর্থে সন্ত্রাস দমন সম্ভব হবে।
সন্ত্রাস দমন নিয়ে কাজ করায় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রশংসা করেও ত্রিমূর্তি বলেন, কিছু কিছু ব্যাপারে পরিষদের সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং তা বলবৎ করার প্রক্রিয়ায় এখনও কিছু খামতি রয়ে গিয়েছে।