Vinai Kumar Saxena

‘এত তাড়া কিসের’, প্রশ্ন আদালতের

দিল্লি পুরসভার স্থায়ী কমিটির সদস্য কমলজিৎ সাহরাওয়াত লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার পরে ইস্তফা দেন। ফলে একটি শূন্য পদ তৈরি হয়। ওই পদে নির্বাচন দু’বার মুলতুবি করেন মেয়র ও আপ নেত্রী শেলি ওবেরয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:২২
Share:

দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা।

দিল্লি পুরসভার স্থায়ী কমিটির নির্বাচনে উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনার হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিদের প্রশ্ন, কমিটির শূন্য পদে নির্বাচন করানোর জন্য ‘এত তাড়া’ উপরাজ্যপালের ছিল কেন?

Advertisement

দিল্লি পুরসভার স্থায়ী কমিটির সদস্য কমলজিৎ সাহরাওয়াত লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার পরে ইস্তফা দেন। ফলে একটি শূন্য পদ তৈরি হয়। ওই পদে নির্বাচন দু’বার মুলতুবি করেন মেয়র ও আপ নেত্রী শেলি ওবেরয়। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ভোট দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট এলাকায় মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়েছিলেন অনেক কাউন্সিলর।

এর পরে আসরে নামেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা। তিনি অবিলম্বে ওই কমিটির শূন্য পদে ভোট করানোর জন্য দিল্লি পুরসভার কমিশনারকে নির্দেশ দেন। ২৭ সেপ্টেম্বর মেয়রের বদলে পুরসভার অতিরিক্ত কমিশনার প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব নিয়ে ভোট করান। তার ফলে কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। আপের তরফে দাবি করা হয়, আইন ভেঙে কাজ করেছেন উপরাজ্যপাল।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা আবেদনে মেয়র শেলি ওবেরয় জানিয়েছেন, এ ভাবে ভোট করিয়ে দিল্লি পুরসভা আইন ও দিল্লি পুরসভা কার্য পরিচালনা বিধির একাধিক ধারা ভঙ্গ করেছেন উপরাজ্যপাল। বিষয়টি নিয়ে আজ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি পি এস নরসিমা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ। বিচারপতিদের প্রশ্ন, ‘‘এই নির্বাচন করাতে উপরাজ্যপালের এত তাড়া ছিল কেন? তিনি এ ভাবে হস্তক্ষেপ করতে থাকলে গণতন্ত্রের কী হবে?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement