সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
চার্জ তৈরি না করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কোনও অভিযুক্তকে ১৩ মাস আটক রাখতে পারে না বলে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লির অধুনালুপ্ত আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে জামিন দিয়ে এই মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত।
টাকা পাচার রোধ আইনে ইডি-কে বল্গাহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্টেও এ নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিভিন্ন পক্ষ। আজ পেরনড রিকার্ড সংস্থার কর্তা বিনয় বাবুকে ইডি-র মামলায় জামিন দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও বিচারপতি এস ভি এন ভাট্টির বেঞ্চ। বিনয়ের বিরুদ্ধে প্রথমে অভিযোগ করেছিল সিবিআই। সেই মামলায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন বিনয়। জুলাই মাসে ইডি-র মামলায় তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল্লি হাই কোর্ট।
এ দিনের শুনানির সময়ে বিচারপতি খন্না বলেন, ‘‘এটা ঠিক নয়। বিচার শুরুর আগে আপনারা কাউকে এত দিন আটক রাখতে পারেন না। আরও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার কথা আছে।’’ সিবিআই ও ইডি-র অভিযোগ, দিল্লি সরকারের মন্ত্রী ও আধিকারিকদের একাংশ অধুনালুপ্ত আবগারি নীতির অধীনে ঘুষের বিনিময়ে কিছু ব্যবসায়ীকে মদের লাইসেন্স দিয়েছেন। এই মামলায় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে বাবুর আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, ‘‘আমার মক্কেল ১৩ মাস জেলে রয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এই মামলায় তাঁর ভূমিকা সিসৌদিয়ার থেকে ভিন্ন।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিনয় বাবুর সংস্থার নীতি তৈরির এক্তিয়ারই ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে ইডি সম্পূর্ণ ভুয়ো মামলা সাজিয়েছে।’’
ইডি-র আইনজীবী ও অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রেও সিসৌদিয়ার মতো নির্দেশ দেওয়া উচিত আদালতের। ৬ মাসেও বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হলে তবেই নিয়মিত জামিনের আবেদন করা যেতে পারে।’’ এই যুক্তির ভিত্তিতেই সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে সিসৌদিয়ার জামিনের আর্জি খারিজ হয়েছে। কিন্তু বিনয় বাবু দীর্ঘদিন জেলে থাকায় বেঞ্চ ইডি-র আইনজীবীর
যুক্তি মানেনি। সংবাদ সংস্থা