সপরিবার ‘অমৃত উদ্যান’ ঘুরে দেখলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি ভবনের ‘মুঘল গার্ডেনসের’ নাম পাল্টে ‘অমৃত উদ্যান’ রাখা হয়েছে। রবিবার। পিটিআই
সকলে যাতে সুবিচার পান, সুপ্রিম কোর্ট সে জন্য সব সময়েই চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। গত কাল সুপ্রিম কোর্টের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘শীর্ষ আদালতের কাছে কোনও মামলাই বড় বা ছোট নয়। প্রতিটি মামলাই গুরুত্বপূর্ণ।’’
প্রধান বিচারপতি জানান, প্রতি দিন শীর্ষ আদালতে কয়েকশো মামলা ওঠে। সেগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি ও রেজিস্ট্রির কর্মীরা প্রাণপণে চেষ্টা করেন। গত তিন মাসে ১২,৭৪১টি মামলার ফয়সালা করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের কাছে কোনও মামলাই বড় বা ছোট নয়। সাধারণ নাগরিকের অসন্তোষ সংক্রান্ত অনেক মামলাকে আপাতদৃষ্টিতে ছোট বলে মনে হতে পারে। কিন্তু সেই সব মামলা থেকেই সংবিধান ও আইনের দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্ম হয়। সাধারণ নাগরিকের সমস্যার সমাধান করে আদালত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে।’’
প্রধান বিচারপতির মতে, ২০২০ সালের ২৩ মার্চ ও ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ৩.৩৭ লক্ষ মামলার ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেছে শীর্ষ আদালত। তাঁর কথায়, ‘‘এখনও আমরা হাইব্রিড শুনানির জন্য প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পথে এগোচ্ছি। কারণ তাহলে দেশবাসী দেশের যে কোনওপ্রান্ত থেকে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।’’
প্রধান বিচারপতির মতে, শীর্ষ আদালত লিঙ্গসাম্যের বড় সমর্থক। উত্তরাধিকার আইনই হোক বা সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলাদের স্থান, সব ক্ষেত্রেই সুপ্রিম কোর্ট সদর্থক ভূমিকা নিয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু করেছে জনস্বার্থ মামলা। তার ফলে যাঁদের আদালতে আসার ক্ষমতা নেই তাঁরাও আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাস ভারতবাসীর প্রতি দিনের লড়াইয়ের ইতিহাস।’’