মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। —ফাইল চিত্র।
মণিপুরের কাংপোকপিতে দুই মহিলাকে নগ্ন করে নির্যাতনের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এমন ঘটনা শ’য়ে শ’য়ে ঘটেছে। কুকি ও মেইতেইদের পক্ষেও এমনই দাবি করা হয়েছে। কিন্তু মণিপুর সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা তথ্য অন্য কথা বলছে।
মণিপুরে সাম্প্রতিক অশান্তির সময়ে দায়ের হওয়া এফআইআরের শ্রেণিবিভাগ করে কোন ধরনের ঘটনায় কত এফআইআর হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত কাল শীর্ষ আদালতে মণিপুর সরকারের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, খুনের মামলা দায়ের হয়েছে ৭২টি। ধর্ষণের মামলা হয়েছে তিনটি। ধর্ষণ করে খুনের মামলা হয়েছে একটি। যৌন নির্যাতনের মামলা হয়েছে ছ’টি। বিভিন্ন অপরাধে মোট সাড়ে ছ’হাজার এফআইআর হয়েছে।
বারবার অভিযোগ উঠেছে ধর্মস্থানের ক্ষতি করা ও অগ্নিসংযোগের। রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধর্মস্থান ধ্বংস করার মামলা হয়েছে ৪৬টি। অগ্নিসংযোগের মামলা হয়েছে ৪৪৫৪টি। লুটপাটের মামলা ৪১৪৮টি। বাড়িঘর ধ্বংসের অভিযোগে এফআইআর হয়েছে ৪৬৯৪টি। সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করার এফআইআর হয়েছে ৫৮৪টি। হামলা করে কোনও ব্যক্তিকে গুরুতর জখম করার মামলা হয়েছে ১০০টি। সেই সঙ্গে তারা সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই একই ঘটনার উল্লেখ একাধিক এফআইআরে আছে।
কিন্তু কুকিদের যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফের মুখপাত্র গিনঝা ভুয়ালঝং বলেন, ‘‘রাজ্য কোর্টের কাছে তথ্য গোপন করছে। কারণ শুধু চূড়াচাঁদপুর জেলাতেই ৮০০০ এফআইআর হয়েছে। তাই রাজ্যে তিন মাসে মাত্র সাড়ে ছ’হাজার এফআইআর হওয়া ও হত্যার ৭২টি এফআইআর হওয়ার তথ্য সত্যি হতে পারে না।’’