প্রতীকী ছবি।
নিট পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি ফের খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
জেইই-মেন পরীক্ষা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর নিট হওয়ার কথা। করোনা অতিমারির সমস্যার কথা জানিয়ে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার তিনটি আর্জি সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি সুভাষ রেড্ডি ও বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি।
পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদনকারীদের হয়ে আইনজীবী অরবিন্দ দাতার শীর্ষ আদালতে যুক্তি দিয়েছেন, পরীক্ষা গ্রহণে কিছু বাস্তব সমস্যা রয়েছে। বিহারের মতো রাজ্যে মাত্র দু’টি পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। তাই অন্তত তিন সপ্তাহের জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু বিচারপতি শাহ বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক এক রাজ্যে এক এক দিন পরীক্ষা হতে পারে না। আর এক আইনজীবী কে টি এস তুলসী যুক্তি দেন, প্রতিদিনই করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। এখন দিনে ৯০ হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ছে। ফলে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সংক্রমিত হয়ে পড়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগে ১৭ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট জেইই-নিট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। আজ বিচারপতিরা বলেন, ওই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জিও খারিজ হয়ে গিয়েছে। বম্বে হাইকোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ তুলে ধরে তুলসী যুক্তি দেন, হাইকোর্ট বলেছে, যাঁরা পরীক্ষা দিতে পারবেন না, তাঁদের সমস্যা বিবেচনা করতে হবে। বিচারপতি অশোক ভূষণ বলেন, এ বিষয়ে যে সংস্থা পরীক্ষা নিচ্ছে, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। আদালত এতে কোনও নির্দেশ জারি করতে পারে না।
আর এক আইনজীবী শোয়েব আলম বলেন, তাঁরা পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন না। কিন্তু ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-এর নির্দেশিকায় কিছু ফাঁকফোকর রয়েছে। যাঁরা কনটেনমেন্ট জ়োনে রয়েছেন, তাঁদের জন্য যেন পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডই পাস হিসেবে বিবেচ্য হয়। স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন। এই সব ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হবে জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা তিনটি মামলাই খারিজ করে দেন।