প্রতীকী ছবি
‘গোরক্ষক’দের হাতে রাকবরের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আগেই উঠেছিল। এবার জড়িয়ে পড়লেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও। অলওয়ারে গণপিটুনির ঘটনার সময় রাকবরের সঙ্গেই ছিলেন বন্ধু আসলাম। এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী সে-ই। তার জবানবন্দিতেই উঠে এল বিজেপি যোগের কথা।
শনিবার একটি সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসলাম জানিয়েছিলেন, বাইকে করে পালানোর সময় তিনি হামলাকারীদের দেখতে পাননি। তবে তাদের হুমকি শুনতে পেয়েছেন।কণ্ঠস্বর শুনলে হয়তো তিনি হত্যাকারীদের চিনতে পারবেন। রবিবার পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, হামলার সময় ‘গোরক্ষক’-রা চিৎকার করছিল, ‘ তোরা আমাদের কিস্যু করতে পারবি না, আমরা স্থানীয় বিধায়কের লোক’।
এলাকাটি রাজনৈতিকভাবে বিজেপি-র দখলে। তাই জনমানসে গোরক্ষার নামে বিজেপির নেতৃত্বে চালানো হচ্ছিল বিদ্বেষমূলক প্রচার অভিযান। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। রক্তাক্ত রাকবরকে ঘটনাস্থল থেকে ২০ মিনিট দূরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে কী জন্য তিন ঘন্টা সময় লাগল, সেই উত্তর এখনও মেলেনি। কী জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে রক্তাক্ত আকবরকে রাস্তাতেই ধোয়ানো হল? কী জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খেলেন পুলিশকর্মীরা? কী জন্য রক্তাক্ত রাকবরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে উদ্ধার হওয়া গরুগুলিকে রাখার ব্যবস্থা করল পুলিশ? কোনও প্রশ্নেরই উত্তর মেলেনি।
আরও পড়ুন: আকবরের মৃত্যুতে পুলিশি গড়িমসির অভিযোগ
পুলিশের ভূমিকা সামনে আসার পর রাজস্থানের বিজেপি সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু বিজেপির ভূমিকা সামনে আসার পর কী করেন বিজেপি নেতৃত্ব, এখন দেখার সেটিই। যদিও আসরে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। মোদীর নতুন ভারত আসলে ঘৃণা ও মৃত্যুর ভারত, ট্যুইট করেছেন রাহুল গান্ধী।