ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা ভোটে এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসির একশোটি আসনে লড়াইয়ের সগর্ব ঘোষণা কি প্রকৃতপক্ষে বিজেপির হাতই শক্ত করবে? জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নটি এ বার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল উত্তরপ্রদেশে।
অন্য দিকে উত্তরপ্রদেশে গত বিধানসভার ভোটে বিজেপির শরিক হিসেবে ৮টি আসনে লড়ে ৪টিতে জিতেছিল ওম প্রকাশ রাজভড়ের সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি (এসবিএসপি)। যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে তিক্ততা তৈরির পরে বিজেপির সঙ্গ পরিত্যাগ করে বিরোধী ফ্রন্ট বানানোর তোড়জোড় করছেন রাজভড়। রাজ্যের রাজনৈতিক সূত্রের খবর, রাজভড়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন ওয়েইসি। তিনি রাজভড়ের ফ্রন্টের অংশ হতে পারেন, অথবা বাইরে থেকে সমর্থন করতে পারেন। কিন্তু সে যা-ই হোক, রাজনৈতিক শিবির নিশ্চিত, ওয়েইসি–রাজভড়ের এই নতুন জুটি নিঃসন্দেহে বিরোধী ভোটকে ভাগ করবে। যেটা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরে কোণঠাসা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে একান্ত কাঙ্খিত। সূত্রে এমনটাও জানা যাচ্ছে, বিজেপির সঙ্গে গোপন সমঝোতা রয়েছে রাজভড় এবং ওয়েইসির। প্রথম জনের ‘দায়িত্ব’ বিজেপি-বিরোধী হিন্দু ভোট ব্যাঙ্কে (মূলত দলিত) চিড় ধরানো। দ্বিতীয় জনের ‘কাজ’ মুসলমান ভোটকে অখিলেশ সিংহ যাদবের ছাতার তলায় সংহত হতে না দেওয়া।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অবশ্য প্রকাশ্যে রণংদেহি অবস্থান নিয়েছেন ওয়েইসির বিরুদ্ধে। বলেছেন, “আমাদের দেশের বড় নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি! তিনি যদি ২০২২ সালের ভোটে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে থাকেন, তা হলে বিজেপি কর্মীরা সেই চ্যালেঞ্জ স্বীকার করছে। ২০২২-এর ভোটে যে বিজেপি জিতবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।” স্থানীয় রাজনৈতিক শিবিরের মতে, রাজ্যে তৈরি হওয়া প্রবল অসন্তোষকে অতিক্রম করে ফের ক্ষমতায় আসার জন্য এই ধরনের নানা কৌশলকে ব্যবহার করতে দেখা যাবে যোগী আদিত্যনাথকে।