‘মানি হেইস্ট’-এর ‘প্রফেসর’।
সকলের প্রিয় ‘প্রফেসর’-এর কী হবে, ‘লিসবন’-ই বা কী করবে, মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই বিশ্বজুড়ে ‘মানি হেইস্ট’ সিজন-৫ নিয়ে সিনেপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সেই আঁচ লাগল এ বার রাজস্থানের জয়পুরের এক কর্পোরেট সংস্থাতেও। বহু প্রতীক্ষিত সেই সিজন-৫ নেটফ্লিক্স-এ মুক্তি পাচ্ছে ৩ সেপ্টেম্বর।
‘ভার্ভলজিক’ নামে ওই সংস্থার সিইও অভিষেক জৈন কর্মীদের ‘স্পন্দন’ যেন অনুভব করতে পারছিলেন। ‘মানি হেইস্ট’-এর জ্বরে যে তাঁর সংস্থার কর্মীরা কাবু হবেনই, নিশ্চিত বুঝতে পেরে কর্মীদের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠির বিষয় রাখা হয়েছে ‘নেটফ্লিক্স অ্যান্ড চিল হলিডে’।
চিঠিটি এ রকম—
৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘মানি হেইস্ট’ সিজন-৫। চাই না ওই দিন ই-মেলের ইনবক্স ভরে উঠুক ছুটির আবেদনে, দেখতে চাই না ফাঁকা অফিস। জানি, কখনও কখনও কাজে উৎসাহ পাওয়ার জন্য একটু ‘চিল মোমেন্ট’-এর প্রয়োজন। তাই এ বিষয়ে আমরা এক উদ্যোগ নিয়েছি।
সুতরাং আর দেরি কেন! পপকর্ন খান, সোফায় গা এলিয়ে ‘প্রফেসর’ এবং তার পুরো দলকে চূড়ান্ত বিদায়ের প্রস্তুতি নিন। ‘ভার্ভলজিক’-এর তরফে ওই দিন সকল কর্মীকে ‘মানি হেইস্ট’-এর জ্বরে কাবু হওয়ার সুযোগ দিচ্ছি। ‘টেক দ্য চান্স অ্যান্ড এনজয় ইট’।
যে ভাবে আপনারা বাড়ি থেকে কাজ করে কঠিন সময়ে সংস্থার পাশে দাঁড়িয়েছেন। সংস্থাকে সেই দুঃসময় থেকে বার করে এনেছেন, আপনাদের সেই উৎসাহ এবং উদ্যম সত্যিই প্রশংসনীয়। তাই সংস্থার তরফে আপনাদের জন্য বড় চমক। বিশাল চাপের পর একটা ব্রেক তো জরুরি তাই না!
বেলা চাও, বেলা চাও….
‘ভার্ভলজিক’-এর সিইও-র সেই চিঠি এখন নেটমাধ্যমে ভাইরাল। নেটাগরিকরা সিইও-কে সাধুবাদ জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, এমন উদ্যোগ সত্যিই কর্মীদের উদ্দীপিত করে আরও ভাল করে কাজ করার জন্য। কেউ বলেছেন, ‘চিল অ্যান্ড গ্র্যাব দ্য মোমেন্ট’।