—প্রতীকী চিত্র।
উজ্জয়িনী ধর্ষণ কাণ্ডে দ্রুত মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এই মামলার কিনারা প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভরত সোনী নামে অভিযুক্ত অটোরিকশা চালককে গ্রেফতারের আগে ৭০০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। অভিযোগ, ভরত বছর তেরোর ওই বালিকাকে উজ্জয়িনী স্টেশন থেকে অটোয় তুলেছিল। ধর্ষণের পরে তাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় রাস্তায় ছেড়ে দেয় সে।
এক পুলিশ ইনস্পেক্টর জানিয়েছেন, এই ঘটনায় সাইবার তদন্তে জড়িত ছিলেন ৩০ থেকে ৩৫ জন অফিসার। একটানা তদন্তের জেরে কেউই তিন থেকে চার ঘণ্টার বেশি ঘুমোনোর সুযোগ পাননি। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হলে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
ভরত সোনীর পাশাপাশি রাকেশ মালবীয় নামে আর এক অটোচালকের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযোগ, রাকেশ ঘটনাস্থল থেকে অসহায় অর্ধনগ্ন বালিকাকে অটোয় তুললেও পুলিশকে কিছু জানায়নি। তাই পকসো আইনের আওতায় আনা হয়েছে রাকেশকেও।
হাসপাতালে ভর্তির পরে দু’জন পুলিশকর্মী নির্যাতিতাকে রক্ত দিয়েছেন। এক অফিসার নির্যাতিতাকে দত্তক নেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন।
এ দিকে ধৃত ভরতের বাবা গতকাল ছেলের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে মুখ খুলেছেন। ছেলের কুকর্মের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছেন, “ওর (ছেলে) সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে তো নয়ই, থানা কিংবা আদালতেও যাব না। আমার ছেলে অপরাধ করেছে। তাই ওকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।” ছেলের অপকর্মে হতাশ বাবার কথায়, “ওকে গ্রেফতার করে কেন থানায় নিয়ে গেল? সোজা গুলি দেওয়া উচিত ছিল।”
উজ্জয়িনী বার কাউন্সিলও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ধৃতের হয়ে মামলা না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগঠনের সভাপতি অশোক যাদব বলেন, “আমাদের সদস্যদের আবেদন জানাচ্ছি, কেউ যেন অভিযুক্তের হয়ে সওয়াল না করে।”