ভেস্তে গেল লোকসভার অধিবেশন। —ফাইল চিত্র।
বিরোধীদের ভূমিকায় এ বার শাসক দল।
আজ শাসক দলের হট্টগোলের জেরে আলোচনাই হল না বিতর্কিত দিল্লি জাতীয় রাজধানী অঞ্চল শাসন (সংশোধনী) বিলটি নিয়ে। বিজেপি সূত্রের মতে, গতকাল দিল্লির আমলাদের নিয়োগ ও বদলির রাশ কার হাতে থাকবে সেই সংক্রান্ত বিলটি পেশের সময়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বাধা দিয়েছিলেন বিরোধী সাংসদেরা। পাল্টা জবাবে আজ তাই বিরোধীদের আটকানোর কৌশল নেয় শাসক শিবির। যদিও শাসক দলের অন্য একটি সূত্রের মতে, ওই বিল নিয়ে আলোচনা হলে দিল্লি-সংলগ্ন বিজেপি শাসিত রাজ্য হরিয়ানায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের বিষয়ে উত্থাপনের সুযোগ পেয়ে যেতেন বিরোধীরা। তাই আজ হট্টগোল করে দিনের অধিবেশন ভেস্তে দেওয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে আজ বিরোধীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ৮-১০ অগস্ট লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। সময় ধার্য করা হয়েছে ১৭ ঘণ্টা।
গতকাল লোকসভায় দিল্লি সংক্রান্ত বিলটি পেশ হয়। ঠিক ছিল আজ বেলা দু’টোর পর অধিবেশন শুরু হলে ওই বিলটি নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজনের বিরতির পরে লোকসভা শুরু হতে দেখা যায় বিপরীত চিত্র। বিরোধীদের পরিবর্তে উল্টে হট্টগোল করতে দেখা যায় শাসক শিবিরের সাংসদদের। পরে বিজেপির এক সাংসদ জানান, যাতে অধিবেশন চলতে না পারে তার জন্য তাঁদের আজ হট্টগোল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
দিল্লি সংক্রান্ত বিলটি অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সম্পর্কযুক্ত হলেও, আজ দুপুরে লোকসভা বসলে দেখা যায়, নিজের আসনে অনুপস্থিত অমিত শাহ। কেন মন্ত্রী অনুপস্থিত তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। অন্য দিকে, শাসক শিবির আজ পাল্টা রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগঢ়ের মতো বিরোধী রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও মহিলা নিগ্রহের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব হয়। পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধীরা। দু’পক্ষের হট্টগোলের কারণে অধিবেশনের শুরুর চার মিনিটের মধ্যে মুলতুবি করে দেন ডেপুটি স্পিকার কিরীট সোলাঙ্কি। শাসক-বিরোধী সাংসদদের লোকসভা চলতে না দেওয়ার মনোভাবে ক্ষুব্ধ স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়েছেন, অচলাবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তিনি স্পিকারের আসনে বসছেন না।
বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, গতকাল যে-হেতু বিল পেশের সময়ে অমিত শাহকে বক্তব্য রাখতে বাধা দেওয়া হয়েছিল তাই আজ বিরোধীদের পাল্টা আটকানোর কৌশল নেওয়া হয়েছিল। যদিও শাসক দলের অন্য অংশের মতে, বিজেপি শাসিত হরিয়ানা রাজ্যের অশান্তির বিষয়টি আজ দিল্লি সংক্রান্ত আলোচনায় উঠে আসার সম্ভাবনা ছিল। তাই ওই কৌশল।