সাংসদ সুনীল গায়কোয়াড় এবং জুতো-কাণ্ডে অভিযুক্ত সাংসদ রবীন্দ্র গায়কোয়াড়।
তিনিও সাংসদ। আবার তিনি গায়কোয়াড়ও। নামটা যদিও আলাদা। তিনি এমপি সুনীল গায়কোয়াড়। আর বিমানকর্মীকে জুতোপেটা করে যিনি এখন সংবাদ শিরোনামে তিনি এমপি রবীন্দ্র গায়কোয়াড়। সাংসদ আর গায়কোয়াড় হওয়ার কারণেই, রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের ‘প্রাপ্য কোপ’ নাকি এসে পড়ল তাঁর উপরেও। বিমানবন্দরে ঢোকা থেকে বিমানে চড়ে বসা এবং গোটা বিমানযাত্রায় হেনস্থা, সন্দেহের চোখে তাকানো আর বিমান কর্মীদের কড়া নজরবন্দি, কিছুই বাদ যায়নি। ফিরেই নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে এই অভিজ্ঞতার কথা জানান ওই সাংসদ। এর পর দলের পরামর্শে অসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিনহার কাছে তিনি ওই বিমানসংস্থার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেন।
সুনীল গায়কোয়াড় মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ। গত শুক্রবার তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে হায়দরাবাদ থেকে মহারাষ্ট্রের লাতুর-এ ফিরছিলেন। তাঁর অভিযোগ, বিমানবন্দরে প্রথমেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। একাধিকবার তাঁর সমস্ত নথিপত্র ঘেঁটে দেখেন সিআইএসএফ এবং বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বোর্ডিংয়ের অনুমতি মিললেও, নিরাপত্তারক্ষী এবং বিমানকর্মীদের সন্দেহের দৃষ্টি ঘিরে ছিল তাঁকে। বিজনেস ক্লাসে না বসিয়ে বিমানের ইকনমি ক্লাসে একেবারে পিছনের সিটে তাঁকে বসানো হয়। এমনকী তাঁর সিট ঘিরে মোতায়েন করা হয়েছিল কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীও।
আরও পড়ুন: মেঝেতে, দেওয়ালে কার রক্ত জানতে ছাত্রীদের নগ্ন করালেন ওয়ার্ডেন!
সুনীলের মতে, বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কখনও ভুল হতে পারে না। তবে কি পদবী গায়কোয়াড় বলেই বারবার তাঁর সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হচ্ছে? তবে কি গায়কোয়াড় হওয়া অপরাধ? অভিযোগের পাশাপাশি অসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী এবং ওই বিমানসংস্থার কাছে এই প্রশ্ন তোলেন ওই সাংসদ।
এই নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।