—ফাইল চিত্র।
সংসদের বাজেট অধিবেশন শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন। বিরোধীদের সম্মিলিত কৌশল, শেষ সপ্তাহে এপিক এবং মণিপুর প্রসঙ্গ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সামনের পায়ে এগিয়ে আক্রমণ করা। সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। তাই সংসদে বিধিবদ্ধ আলোচনার পর এই নিয়ে প্রস্তাব পাশ হবে। সেই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য চেয়ে আসর গরম করতে চলেছে তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলেরা। রাজনৈতিক সূত্রে এ কথা জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি একই এপ্রিক নম্বরে একাধিক ভোটার কার্ডের বিষয়টি নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে নোটিস জমা পড়ছে সংসদের দুই কক্ষে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এ কথাও জানানো হয়েছে, তিনি স্বল্পমেয়াদি আলোচনার ধারায় বিষয়টি নিয়ে আসুন। সে ক্ষেত্রে 'এপিক' শব্দটি নিয়ে যদি আপত্তি থাকে, তা হলে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনকে বিষয়বস্তু করেও আলোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইঙ্গিত, এই নিয়ে আলোচনায় যেতে রাজি নয় সরকার। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘ওরা যদি ভিতরে আলোচনার সুযোগ দেয়, তা হলে অধিবেশনের ভিতরেই সরকারের ভূমিকাকে তুলে ধরার সুযোগ থাকবে। আর যদি না দেয়, তা হলে বিরোধীরা সম্মিলিত ভাবে সংসদ চত্বরে ধর্না প্রদর্শন, আন্দোলন করতে পারে। উভয়ক্ষেত্রেই আমদের রাজনৈতিক লাভ।’’
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, মণিপুর নিয়ে বিরোধীরা কোমর বাঁধার চেষ্টা করছে ঠিকই, কিন্তু লোকসভায় বিশেষ সুবিধা তারা করতে পারবে না। কারণ মাত্র এক ঘণ্টা সময় আলোচনার জন্য ধার্য করা হয়েছে লোকসভায়। পাশাপাশি রাজ্যসভায় দেওয়া হয়েছে ৪ ঘণ্টা! রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেন, ‘‘২২ মাস ধরে আমরা অপেক্ষা করছি, প্রধানমন্ত্রী সদনে এসে বলবেন। এ বার সময় এসেছে। আমাদের দাবি, তিনি এসে মণিপুর নিয়ে নিজের নৈঃশব্দ ভঙ্গ করুন। না হলে অমিত শাহ এসে জানান আমাদের।" ২০২৩-এ রাজ্যসভায় মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের দাবিতে অধিবেশন উত্তাল করেছিল তৃণমূল। যার পুরোধা ছিলেন ডেরেক। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী এই নিয়ে আজও মুখ খোলেননি।