Indian Railways

বাতাসের বেগ বাড়লে দাঁড়িয়ে যাবে বুলেট ট্রেন 

গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র মিলে মোট ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের ১৪টি জায়গায় ওই যন্ত্র বসছে। যার মধ্যে ন’টি গুজরাতে ও পাঁচটি মহারাষ্ট্রে।

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৫৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

দেশের পশ্চিমে আরব সাগরের উপকূল ঘেঁষে তৈরি হওয়া মুম্বই-আমদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পে বাতাসের গতিবেগ মাপতে এ বার বিশেষ যন্ত্র বসাচ্ছে ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন।

Advertisement

গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র মিলে মোট ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের ১৪টি জায়গায় ওই যন্ত্র বসছে। যার মধ্যে ন’টি গুজরাতে ও পাঁচটি মহারাষ্ট্রে।

আরব সাগরের উপকূল সংলগ্ন ওই অংশে বাতাসের গতিবেগ অনিয়মিত। তার মধ্যে কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গায় বাতাসের গতি খুবই ওঠানামা করে বলে রেল সূত্রে খবর। একাধিক নদী উপত্যকায় প্রায়শই ঝোড়ো হাওয়া বয় বলে খবর। বাতাসের তীব্র গতির কারণে রেল সেতুর ক্ষতি ছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ওই যন্ত্র বসানো হচ্ছে বলে রেল সূত্রে খবর।

Advertisement

ওই যন্ত্র বসানোর ফলে প্রায় ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল পথে চিহ্নিত বিভিন্ন জায়গায় কোথায় কেমন গতিতে হাওয়া বইছে তার হদিস রেলের কন্ট্রোল রুমে বসে পাওয়া যাবে। চারিদিকে ৩৬০ ডিগ্রি অক্ষপথে ঘোরা ২৫২ কিলোমিটার গতিবেগ পর্যন্ত বাতাসের গতি সহ্য করতে পারে এমন যন্ত্র বসানো হচ্ছে। বাতাসের গতি এবং তার অভিমুখের নির্ভুল হদিস দেবে অ্যানিমোমিটার নামের যন্ত্র।

রেল সূত্রে খবর, বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটারের উপরে উঠলেই প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটারের বেশি হলে নিরাপদ জায়গায় ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হবে। ওই রেল পথ সবরমতী, তাপ্তী, মাহী, নর্মদা-সহ একাধিক নদী উপত্যকার উপর দিয়ে গিয়েছে। রেল সূত্রে খবর, আমদাবাদে সবরমতী, আনন্দের কাছে মাহী, ভারুচের কাছে নর্মদা এবং সুরাতের কাছে তাপ্তী নদীর সেতু লাগোয়া অংশে ওই যন্ত্র বসানো হয়েছে।

ওই সব অংশে তীব্র বায়ু প্রবাহের আশঙ্কা থাকায় বুলেট ট্রেনের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে যন্ত্র বসানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল। ভারতে জাপানের শিনকানশেন রেলের প্রযুক্তিতে নির্মীয়মাণ বুলেট ট্রেন প্রকল্পে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement