Narendra Modi

নয়া প্রস্তাব ফোন ও মেসেজে নজরদারির, সরব বিরোধীরা

সরকার মূলত বিরোধীদের উপর নজরদারি চালাতেই ওই নিয়ম আনতে চাইছেন বলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, অতীতেও পেগাসাসের মাধ্যমে বিরোধীদের ফোনে নজরদারি চালানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৪ ০৭:৪৮
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।

ব্যক্তিকেন্দ্রিক নজরদারি বাড়াতে তথ্য-যোগাযোগ আইনে পরিবর্তন আনার অভিযোগ উঠল নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে।

Advertisement

মোদী সরকার তথ্য-যোগাযোগ আইনে পরিবর্তনের লক্ষ্যে খসড়া আইন গতকাল সামনে এনেছে। যাতে বলা হয়েছে, প্রত্যন্ত এলাকায় জরুরি পরিস্থিতিতে কিংবা অভিযান চালাতে গিয়ে কারও ফোনকল বা মেসেজের উপর নজরদারি চালাতে সর্বদা স্বরাষ্ট্র সচিবের নির্দেশ নেওয়া সম্ভব হয় না। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিশের প্রধান বা অন্তত আই জি পদমর্যাদার কোনও অফিসার সেই নজরদারির নির্দেশ দিতে পারবেন। যদি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযান চালায়, সে ক্ষেত্রে সেই সংস্থার প্রধান বা সেই বাহিনীর আই জি পদমর্যাদার অফিসারের ওই অনুমতি দেওয়ার অধিকার থাকবে। ওই খসড়া আইন নিয়ে কোনও আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে এক মাসের মধ্যে তা কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রককে জানাতেবলা হয়েছে।

সরকার মূলত বিরোধীদের উপর নজরদারি চালাতেই ওই নিয়ম আনতে চাইছেন বলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, অতীতেও পেগাসাসের মাধ্যমে বিরোধীদের ফোনে নজরদারি চালানো হয়েছে। বিরোধীদের মতে, খসড়া অনুযায়ী, অন্তত তিন দিন স্বরাষ্ট্র সচিবকে না জানিয়ে অভিযানের নামে কোনও ব্যক্তির ফোনকল, মেসেজের উপর নজরদারি চালাতে পারবে পুলিশ বা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। যা ব্যক্তি পরিসরে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

Advertisement

যদিও সরকারের একটি সূত্রের দাবি, মূলত অরণ্য এলাকায় নকশালদের বিরুদ্ধে কিংবা জম্মু-কাশ্মীরের প্রত্যন্ত এলাকায় জঙ্গি অভিযানে যাতে নজরদারি চালাতে আইনি সমস্যা না হয়, তার জন্য ওই খসড়া প্রস্তাব আনা হয়েছে। পাশাপাশি কী কারণে স্বরাষ্ট্র সচিবের অনুমতি ছাড়া ওই নজরদারি চালানো হল তা পর্যালোচনা কমিটিকে জানাতে বাধ্য থাকবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিশ বা কেন্দ্রীয় সংস্থা।বিশেষ করে কী ধরনের প্রত্যন্ত এলাকায় অভিযান চালাতে গিয়ে, কত দিন (সর্বাধিক ১৫ দিন) ওই নজরদারি চালানো হয়েছে, তাও জানাতে হবে কমিটিকে। কেন্দ্রীয় স্তরে পর্যালোচনা কমিটির চেয়ারম্যান হবেন ক্যাবিনেট সচিব, সদস্য হিসেবে কমিটিতে থাকবেন আইন মন্ত্রক ও তথ্য-যোগাযোগ মন্ত্রকের সচিব। রাজ্য স্তরে পর্যালোচনা কমিটির চেয়ারম্যান হবেন মুখ্য সচিব। সদস্য হবেন আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবকে বাদ দিয়ে অন্য কোনও দফতরের সচিব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement